কান চলচ্চিত্র উৎসব
‘আমার শিক্ষক ঋত্বিক ঘটক বাংলাদেশের’
‘ঋত্বিক ঘটক আমার চলচ্চিত্র জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। সুযোগ পেলে আমার চলচ্চিত্র জীবনের এই শিক্ষকের জন্মভিটা বাংলাদেশে ঘুরে যাবো।’ কথাগুলো বলছিলেন বলিউডে প্রায় ৫০ বছর কাটিয়ে দেয়া প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক ও প্রযোজক সুভাষ ঘাই। ফ্রান্সে ৭১ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতীয় প্যাভিলিয়নে এক একান্ত আলাপে তিনি এভাবেই স্মরণ করেন ঋত্বিক ঘটককে।
সুভাষ ঘাই এবার কান উৎসবে এসেছেন বহুল আলোচিত আধ্যাত্মিক গুরু ওশোর বায়োপিক ‘ওশো: দ্য আদার সাইড অব ওশান’ নিয়ে। ইতালিন এক প্রযোজনার সংস্থার সাথে যৌথভাবে ছবিটির প্রযোজনা করেছেন তিনি। অ্যাকশন মুভি ‘খলনায়ক’ কিংবা ‘তালে’র মতো সঙ্গীত নির্ভর ছবি দিয়ে তিনি মাতিয়েছেন বলিউড। ‘ইকবালে’র মতো ক্রীড়া নির্ভর সামাজিক চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে তাঁর পরিচালনায়। ক্রমাগত নিজেকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সুভাষ ঘাই এবার প্রযোজনা ‘ওশো’র মতো আধ্যাত্মিক জীবনী নির্ভর চলচ্চিত্র। জানালেন, তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতাই তাঁকে এই ছবি বানানোর তাগিদ দিয়েছে।
সুভাষ বলেন, ‘তুমি বলতে পার, এটা জীবনের ম্যাচুরিটিরই আবিষ্কার। এটা শুধু বয়সের ওপর নির্ভর করে না। এটা তোমার মনের উপরও নির্ভর করে। খুব কম বয়সেই তুমি এই আধ্যাত্মিকতার সন্ধান পেতে পার। ধরো দশ বছর বয়সে। এটা সম্ভব। আধ্যাত্মিকতা আমার কাছে জীবনকে বোঝা সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আমি সব ধরণের ছবি বানিয়েছি। এটা অন্য রকম।’
কানে এই ছবির ঘোষণা দিতে পেরে যার পরনাই আনন্দিত সুভাষ ঘাই। বলছেন, ‘এটা দারুণ আনন্দের যে কানে আমি এই ছবির ঘোষণা দিতে পেরেছি। ছবিটি ইতালিয়ান আরেক প্রযোজকের সাথে আমি আছি।আমি সারা বিশ্বকে জানাতে চাই ভারতের এই বায়োপিক ওশোর কথা। এছাড়া কানে আমি অনেক কিছু করেছি। সিনেমা দেখেছি, পরিচালকদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি। খুব ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশের ছবির কথা জিজ্ঞেস করতেই সুভাষ আবেগতাড়িত হলেন। বললেন, ‘ঋত্বিক আমার সিনেমার গুরু। আমি অবশ্যই তাঁর বাংলাদেশে যেতে চাই। বাংলাদেশ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিরই আরেক অংশ।আমি বাংলাদেশের ছবি দেখেছি। এখানকার সংস্কৃতি, মানুষকে আমি জানি। অবশ্যই বেশ কিছু ভালো ছবি হয়েছে। আমার শিক্ষক ঋত্বিক ঘটক বাংলাদেশের। তুমি বলতে পারো, আজ যে আমি এত ধরণের ছবি বানাতে পারছি, তার কারণ ঋত্বিকের মতো গুরু পেয়েছি বলে। আমি অবশ্যই বাংলাদেশে যেতে চাই। সুযোগটা পেলেই চলে যাবো। সিনেমা বানানো বা অন্য যে কোন কিছু। আমি বাংলাদেশকে কিছু দিতে চাই।’