গায়ক আসিফের বিরুদ্ধে মামলার কারণ জানালেন শফিক তুহিন
সংগীতশিল্পী ও সুরকার শফিক তুহিনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে।
এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে শফিক তুহিন বলেন, ‘এটা ছিল মানহানির মামলা। ৫৬(২) ধারার মামলা ছিল। আমাকে কয়েক দিন ধরে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও ফেসবুক লাইভে এসে মিথ্যাচার করা হয়েছে।’
গত সোমবার সন্ধ্যায় দায়ের করা এ মামলার এজাহারে শফিক তুহিন অভিযোগ করেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সার্চলাইট নামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে শফিক তুহিন বলেন, ‘আসিফ আকবরের জন্য আনুমানিক ৭০টা বা তার ওপরে গান লিখেছি। গানগুলো বিক্রির সময় আমার অনুমতি নেননি। সেখানে আমার স্বাক্ষর নেই।’
শফিক তুহিন আরো বলেন, ‘আমরা তো গালিগালাজ করতে পারি না। নোংরামি দিয়ে তো প্রতিউত্তর দেওয়া যায় না। সে জন্য আমি দেশের নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আইন যেটা ভালো বুঝবে, সেটা করবে। আমার এখন বলার কিছু নেই এখন। এটা আইনের বিষয়।’
মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, আসিফ আকবর তাঁর প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন এবং ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।
ভিডিওতে আসিফ আকবর শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন—এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাঁকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়।
মামলায় আরো বলা হয়, আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।