আমির খান কি রাজনীতিতে আসছেন?
ভারতের সৃজনশীল বিভিন্ন মাধ্যমের তারকারা রাজনীতিতে এসেছেন। সচেতনতামূলক অনেক অনুষ্ঠানে বলিউড সুপারস্টার আমির খানকে দেখা যায়। তাঁর বেশ কিছু সিনেমার গল্পও জনসচেতনতামূলক এবং দেশগঠনে ভূমিকা রাখে। আমির খান কি তবে রাজনীতিতে আসবেন? এমন প্রশ্ন তাই অমূলক নয়। সরাসরি রাজনীতিতে আসা না-আসা নিয়ে এবার আমির খান নিজেই মুখ খুললেন।
আমির খান বলেছেন, সৃজনশীল অঙ্গনে যারা কাজ করে, তাঁরা আমাকে পছন্দ করেন। দেশ গঠনে সৃজনশীল মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
কখন রাজনীতিতে আসছেন বা সামাজিক কাজের জন্য রাজ্যসভায় তাঁকে স্থান দেওয়া হলে তিনি কী করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলিউড এ তারকা বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি প্রচুর কাজ করছি এবং আমি মনে করি, এ ধরনের কাজ করার জন্য সরাসরি রাজনীতিতে ঢোকার প্রয়োজন নেই।’
দঙ্গল তারকা গতকাল রোববার বলেন, ‘সৃজনশীল অঙ্গনে যারা কাজ করে, তাঁরা আমাকে পছন্দ করেন। দেশ গঠনে সৃজনশীল মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। সমাজ গঠনে তাদের ভূমিকা জোরদার করা দরকার।’
ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে আজ সোমবার পানি ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আমির খান বলেন, ‘আমি সৃজনশীল মাধ্যমে কাজ করি। এ মাধ্যমে যারা কাজ করেন, তাদের দেশ ও সমাজ গঠনে দায়িত্ব আছে।’ এ সময় ‘ওয়াটার কাপ অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণা করেন তিনি।
পানি ফাউন্ডেশন ‘সত্যমেভ জয়তে ওয়াটার কাপ’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং পানিব্যবস্থাপনায় অবদান রাখায় গ্রামগুলোকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত পানি ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। মহারাষ্ট্রের খরাকবলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে খরা মোকাবিলায় টিভি সিরিজ ‘সত্যমেভ জয়তে’র টিম এটি গঠন করে। আমির খান ও তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও এর প্রতিষ্ঠাতা। আমির খান এ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। এ অভিনেতা আরো জানান, তাঁরা ভূমিস্বাস্থ্য, ঘাসজমি, শস্য পরিকল্পনা ও বৃক্ষরোপণের দিকে নজর দেবেন।
‘যে গ্রামগুলোতে পানিব্যবস্থাপনা আন্দোলন জোরদার হয়েছে, সেখানে আমরা আরো প্রতিযোগিতার আয়োজন করব। আমরা ভূমিস্বাস্থ্য, ঘাসজমি, শস্য পরিকল্পনা ও বৃক্ষরোপণ বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব’, বলেন এ সুপারস্টার। শহর এলাকায়ও পানি ফাউন্ডেশন কাজ করবে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদানভিস, রাজ্য কংগ্রেস প্রধান অশোক চাভান, বিরোধী দলের নেতা রাধাকৃষ্ণ ভিখি পাতিল, এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার, রাজ্যমন্ত্রী রাজ সিন্ধে ও বিজয় শিবতারে।
সাতারা জেলার আন্ধালি গ্রাম প্রথম পুরস্কার পায়। পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল ৭৫ লাখ রুপি। একটি ট্রফিও দেওয়া হয়।
সাতারা জেলার ভান্দওয়ালি ও বুলধানা জেলার সিন্দখেদ গ্রাম যৌথভাবে দ্বিতীয় পুরস্কার পায়। তাদেরকে ৫০ লাখ রুপি ও একটি ট্রফি দেওয়া হয়। বিদ জেলার আনন্দওয়াদি ও নাগপুর জেলার উমথা গ্রাম তৃতীয় পুরস্কার পায়। তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপি ও ট্রফি দেওয়া হয়।