ক্ষমা চাইলেন সেই লেখক
নিউইয়র্ক টাইমসের সাময়িকী দ্য কাটে ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসের ভালোবাসা কি প্রকৃত?’ শিরোনামে লেখা সেই নিবন্ধের লেখক ক্ষমা চেয়েছেন নবদম্পতির কাছে।
গত বুধবার সাংবাদিক মারিয়া স্মিথ তাঁর নিবন্ধে সদ্য বিবাহিত প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী নিককে নিয়ে ‘বর্ণবাদমূলক, মিথ্যা ও ব্যক্তিগত আক্রমণ’ করে লেখেন। এমনকি সেখানে প্রিয়াঙ্কাকে বলা হয় ‘বিশ্বের প্রতারক শিল্পী’। আরো বলা হয়, বিয়ের জন্য প্রস্তুতই ছিলেন না নিক। ‘টাকা কামানোর জন্য’ প্রিয়াঙ্কা ও নিক ‘ভালোবাসাকে’ ব্যবহার করছেন।
অনলাইনে সেই লেখাটি ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে দ্য কাট। সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক প্রতিবাদ। বলিউডের অনেক তারকা এই নিবন্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তাঁরা বলেন, লেখাটি ‘লিঙ্গবাদী, বর্ণবাদী ও অসহ্য’।
শুধু ভক্তরাই নন, নিকের পরিবারের সদস্যরা ও বলিউডের তারকাও তীব্র প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদের মুখে অনলাইন থেকে লেখাটি মুছে দেয় দ্য কাট। ক্ষমাও চায় সাময়িকীটি। বলে, ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসকে নিয়ে লেখাটি আমাদের মানের সঙ্গে যায় না। আমরা সেটি সরিয়ে ফেলেছি এবং ক্ষমা চাইছি।’
দ্য কাটের পর এবার ক্ষমা চাইলেন সেই নিবন্ধের লেখক মারিয়া স্মিথ। লেখার দায় সম্পূর্ণ তাঁর জানিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
বিনোদন সংবাদমাধ্যম বলিউড লাইফ জানিয়েছে, আজ শনিবার মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে মারিয়া স্মিথ ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, ‘আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলছি, আমার লেখা দিয়ে আহত করায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস এবং পাঠকের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া (বিদেশি-ভীতি বা অপছন্দ) ও লিঙ্গবাদ সমর্থন করি না। যা লিখেছি, তার সম্পূর্ণ দায় আমি নিচ্ছি আর সেটা ভুল ছিল; আমি সত্যিই দুঃখিত।’
ওই লেখা প্রকাশের পর বলিউডে প্রতিবাদ উঠলেও শান্ত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একটি শীর্ষ দৈনিককে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত বা মন্তব্য করতে চাই না। এটা আমার স্তরের মধ্যেই পড়ে না। এ মুহূর্তে আমি খুব সুখে আছি। অহরহ ঘটে যাওয়া এসব জিনিস আমাকে বিরক্তও করতে পারে না।’
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন গায়ক নিক জোনাসের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন বলিউড-হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বিয়ের পর সুখের সেরা সময়ে আছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। ১ ও ২ ডিসেম্বর প্রিয়াঙ্কা-নিক খ্রিস্টান ও হিন্দু রীতিতে বিয়ে করেন। ভারতের যোধপুরের উমেদ ভবন প্রাসাদে হয় তাঁদের রাজকীয় বিয়ে।