বিজয় দিবস উপলক্ষে এনটিভিতে দুই নাটক
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এনটিভিতে দুটি নাটক প্রচারিত হবে। দুপুর ১২টা২০ মিনিটে প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক ‘পিয়ানো’। মাসুম শাহরিয়ারের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, তারিন জাহান, শেখ মাহবুবুর রহমান, বিথী রানী সরকার প্রমুখ।
‘পিয়ানো’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ‘ছোট্ট জেলা শহরে রাশেদের মিউজিক শপ। ঢোল তবলা, হারমোনিয়ম, ব্যাঞ্জো গীটার এইসব বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে হাতে গোনা কিছু এন্টিকও তার সংগ্রহে রয়েছে। যেমন পিলু রাজের বাঁশি। পিতৃসূত্রে রাশেদ এই ব্যবসার মালিক হয়েছে। নীতিশ হাওলাদার নামের এক বুড়ো রাশেদের দোকানের একমাত্র কর্মচারী। বুড়োর চোখে মুখে চাপা এক ধরনের রহস্য আছে। অবিবাহিত এই বুড়ো রাশেদের পরিবারেরই সদস্য। এ ছাড়া স্ত্রী জেবা আর একমাত্র মেয়ে বৃষ্টিকে নিয়ে রাশেদের পারিবারিক গেরস্থালী। একটি অতি সাধারন মধ্যেবিত্ত পরিবার। ক্লাস সিক্সে পড়ুয়া বৃষ্টির গান বাজনার ঝোঁক আছে। রাশেদের এটা পছন্দ না। বৃষ্টি গোপনে নীতিশের কাছে গানের তালিম নেয়। একদিন দোকানের সামনে একটা গাড়ি এসে থামে। চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলা নেমে দোকানে ঢোকে। তার অনুসন্ধানী চোখ কিছু একটা খোঁজে। দোকানের এক কোনায় ফেলে রাখা পুরানো একটা পিয়ানোর দিকে তার দৃষ্টি আটকে থাকে।’
‘পিয়ানো’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত
অন্যদিকে, রাত ৯টা৫ মিনিটে প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক ‘বাবা আসবেন’। আনিসুল হকের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন হাবীব শাকিল। এতে অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী, অরুণা বিশ্বাস, এটিএম রাসেল, ফখরুল বাশার মাসুম, এলিনা শাম্মী, জয়ী প্রমুখ।
‘বাবা আসবেন’ এর গল্পে দেখা যাবে, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের গল্প বাবা আসবেন। যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন দেশের মধ্যে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা একটি মেয়ের পরিণতির গল্প বাবা আসবেন। আশা নামের মেয়েটি মূলত সে সময়ের নির্যাতিত সকল নারীর প্রতীক। যে একটি আশ্রমে বসে স্মরণ করতে চেষ্টা করতে থাকে তার অতীত। এই আশ্রমের নেত্রী মায়ের মমতা দিয়ে পাকিস্তানী ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা সকল মেয়েদের পাশে দাঁড়ায়। এ আশ্রমে আশার মতো আরো অনেক মেয়েই আছে। মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আশাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জ্ঞান ফেরার পর এই আশ্রমে ঠিকানা হয় আশার। ধীরে ধীরে আশার সমস্ত অতীত মনে পড়তে থাকে। তার পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন সবার কথা। তার বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। আশা পথ চেয়ে থাকে তার বাবার জন্য। যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন দেশে আশার পরিবার, সমাজ আশাদের কিভাবে গ্রহণ করবে? আশার বাবা কি পারবে নিজের মেয়েকে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে?’