বিবাহিত জীবনে চরম অসুখী ছিলেন মালাইকা

মালাইকা অরোরা ও আরবাজ খান যখন ১৮ বছরের দীর্ঘ সংসারজীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছিলেন, হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুরো বি-টাউন। ২০১৭ সালে আলাদা হয়ে যান এ যুগল।
এরই মধ্যে জল গড়িয়েছে অনেক। বিবাহবিচ্ছেদের পরেও বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন তাঁরা। খান পরিবারের প্রায় সব অনুষ্ঠানেই হাজির হন মালাইকা।
সম্প্রতি কারিনা কাপুর খানের রেডিও শো ‘হোয়াট ওম্যান ওয়ান্ট’-এ অতিথি হয়েছিলেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা, সেখানে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মনখোলা বক্তব্য দেন তিনি। মালাইকা বলেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ব্যাপার নয়।
মালাইকা আরো বলেন, জীবনের অন্য বড় সিদ্ধান্তগুলোর মতোই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত খুব কঠিন। কারণ, দিনশেষে সবাই দোষী সাব্যস্ত করতে চায়, আঙুল তোলে। অবশ্য এটা মানুষের স্বাভাবিক আচরণ বলেই মানছেন মালাইকা।
‘ছাইয়া ছাইয়া’ কন্যার কাছে নিজের ও তাঁর চারপাশের সুখটাই আসল। মালাইকা বলেন, বিবাহিত জীবনে তিনি চরম অসুখী ছিলেন। আর তাই তিক্ততা ছাড়াই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
‘আমরা একে অপরকে চরম অসুখী করে তুলেছিলাম,’ মালাইকার স্বীকারোক্তি।
১৯৯৮ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মালাইকা ও আরবাজ। তাঁদের সংসারে রয়েছে ১৬ বছরের ছেলে আরহান। ২০১৭ সালে মে মাসে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
এই অভিনেত্রী বলেন, যখন বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের লোকজনকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন।
“আমি মনে করি, সবার আগে এসব বন্ধ করা জরুরি। কেউ আপনাকে বলবে না, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, যাও প্লিজ, করো গে।’ প্রথম যেটা হয়, আপনার সিদ্ধান্ত সমাজ নিয়ে ফেলে। আমাকেও এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে,” বলেন মালাইকা।
বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা শোনার পর মালাইকার পরিবারও তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়। “এমনকি ডিভোর্সের আগের রাতেও, পরিবারের লোকজন আমার সঙ্গে বসে এবং ফের জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি নিশ্চিত? তোমার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ১০০ পারসেন্ট নিশ্চিত তুমি?’ আর এ ধরনের কথাই আমাকে শুনতে হয়েছিল। আসলে আমাকে নিয়ে যাঁরা চিন্তা করে, তাঁরাই এসব জানতে চেয়েছিল,” বলেন মালাইকা।
ডিভোর্সের পর ৪৫ বছরের মালাইকা তাঁর ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন। বি-টাউনে গুঞ্জন, ৩৩ বছরের অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের পরবর্তী ধাপে যেতে চাইছেন মালাইকা এবং শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তাঁরা। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে