অজয়-কাজলের দাম্পত্যের ২০ বছর

দাম্পত্যের কুড়ি বছর পূর্ণ করলেন তারকা দম্পতি অজয় দেবগন ও কাজল। আজ এ যুগলের বিবাহবার্ষিকী। ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন ‘সিংহম’ তারকা অজয় ও ‘মিষ্টি কন্যা’ খ্যাত কাজল।
হাওয়ায় ভাসছেন অজয় দেবগন। এই অভিনেতা-প্রযোজকের বহুল প্রতীক্ষিত কমেডি সিনেমা ‘টোটাল ধামাল’ মুক্তি পেয়েছে মাত্র একদিন আগে। মুক্তির দিন ব্ক্স অফিসে বেশ ভালো আয় করেছে ছবিটি। এখন ‘তানাজি : দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত অজয়। আর আজ তিনি ও স্ত্রী উদযাপন করছেন বিবাহবার্ষিকী।
এ দম্পতির দুই সন্তান—১৬ বছরের কন্যা নিশা ও আট বছরের ছেলে যুগ।
কাজল : অজয়ের জীবনের ভালোবাসা
বলিউডের অন্যতম সেরা দম্পতি অজয়-কাজল। কাজল সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল। অজয় কিছুটা গম্ভীর। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে অজয়-কাজল বেশ মজা করে কাটান। সে কথা নিজেই বলেছেন অজয়। কাজলের সঙ্গে তাঁর রয়েছে অসাধারণ সমীকরণ। এ প্রসঙ্গে অজয় বলেছেন, ‘যদি তোমার তা না থাকে, তা হলে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটাতে পারবে না। আমাদের রয়েছে দৃঢ় বন্ধন, আমরা দুজন দুজনকে যা ইচ্ছে বলতে পারি। ঘরেও আমরা উচ্ছ্বসিত যুগল।’
এই সুপারস্টার আরো বলেন, ‘নিজেদের কী নেই, তা কখনোই আমরা একে অপরকে জিজ্ঞেস করি না। যদি ওর স্পেস প্রয়োজন হয়, তা সে নিতে পারে। যদি আমার প্রয়োজন হয়, সে কখনোই অসন্তোষ প্রকাশ করবে না। আমরা এক ঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে নিজেদের কাজ করতে পারি এবং কথা না বললেও আমরা অস্বস্তিবোধ করি না।’
ছেলে যুগের সঙ্গে মা কাজল। ছবি : সংগৃহীত
নিশা : অজয়ের চোখের মণি
অন্য স্টার কিডদের মতো ১৬ বছরের নিশাও যদি চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অজয় দেবগন বলেছেন, ‘সিনেমায় প্রবেশে আমি কখনোই নিশাকে উৎসাহ দিইনি, অনুৎসাহিতও করিনি। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওর পড়াশোনা। লেখাপড়া শেষ হওয়ার পরে সে যা ইচ্ছে করতে পারে। ঠিক এখন, আমার মনে হয় অভিনেত্রী হওয়ার জন্য মুখিয়ে নেই সে। সেদিক থেকে বলতে গেলে, ইন্ডাস্ট্রিতে আসার ব্যাপারে এখন তাঁর মনোযোগও নেই। আজকালকার ছেলেমেয়েরা নিজের মতো করেই ভাবে। তাদের লক্ষ্য সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা আমি বলতে পারি না।’
অজয় বলেন, প্রথম সন্তানের সিদ্ধান্তকে প্রাণপণে সমর্থন করে যাবেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী কাজল। ‘আমি ও কাজল দুজনই ওকে দেখভাল করি। নিশা কী হতে চায়, তা সে-ই সিদ্ধান্ত নেবে। পৃথিবীর অন্যান্য মা-বাবার মতো আমরাও আমাদের সন্তানের মঙ্গল চাই,’ বলেন অজয় দেবগন। সূত্র : ডিএনএ