মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৮
সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেলেন নিশো-মেহজাবীন
২১তম মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারের আসর গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এনটিভিতে প্রচারিত ‘বুকের বাঁ পাশে’ টেলিফিল্মে অভিনয়ের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার এবার পেয়েছেন অভিনয়শিল্পী আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী।
সেরা টিভি অভিনেতা হিসেবে নিশো ও অভিনেত্রী হিসেবে মেহজাবীর এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। সেরা টিভি অভিনেত্রী হয়ে উচ্ছ্বসিত মেহজাবীন।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এই টেলিফিল্মের নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়াকে ধন্যবাদ। টেলিফিল্মের কলাকুশলী ও শিল্পীদেরকেও ধন্যবাদ। আমার সব বন্ধু ও ভক্তদের ধন্যবাদ যাঁরা আমাকে ভোট ও সমর্থন করেছেন পুরস্কারটি পাওয়ার জন্য। এই পুরস্কার আপনাদের সবার।’
অন্যদিকে, ‘বুকের বাঁ পাশে’ টেলিফিল্মটির নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, ‘সেরা টিভি অভিনয়শিল্পী হওয়ার জন্য নিশো ভাই ও মেহজাবীনকে স্বাগতম।’
এনটিভিতে ২০১৮ সালে ঈদুল ফিতরে প্রচারিত হয় বিশেষ টেলিফিল্ম ‘বুকের বাঁ পাশে’। টেলিফিল্মটিতে আফরান নিশো ও মেহজাবীন ছাড়াও অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, সুষমা সরকার, শেলী আহসান প্রমুখ।
টেলিফিল্মটি দর্শক দারুণ পছন্দ করেছেন। এনটিভির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এরমধ্যে নাটকটি এক কোটি পাঁচ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে নির্মাণশৈলী এবং শিল্পীদের অভিনয়।
এনটিভির অনুষ্ঠানবিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ বলেন, “এক কোটি দর্শক ‘বুকের বাঁ পাশে’ টেলিফিল্মটি দেখেছেন এটা আনন্দের খবর। দশর্কের ভালোলাগাই আমাদের সার্থকতা।”
নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, ‘আমি দর্শকদের জন্য নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণ করি। বেশি বেশি দর্শক দেখবে সেই কাজটাই আমি করতে চাই সবসময়। এর ফলও পাই ভালো। আমি অনেক ভাগ্যবান কারণ আমার পরিচালনায় নাটকগুলো দর্শক ভালোবেসে গ্রহণ করছেন। সামনে আরও ভালো কাজ করে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। যাঁরা বুকের বাঁ পাশে দেখেছেন তাঁদের ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
টেলিফিল্মের গল্পে দেখা যায়, ফারিনের সঙ্গে রাশেদের প্রথম দেখা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার সময়। পাশাপাশি সিট তাদের। একসময় পরিচয় হয় ওদের। রাশেদের আগেই নামবে ফারিন। হাত মিলিয়ে ফোন নম্বর বিনিময় করে চলে যায় ফারিন। রাশেদ নিজের সেই হাতটা বুকের বা পাশে রেখে মৃদু হাসে। দুজন চলে যায় যার যার বাড়িতে। রাশেদ অপেক্ষা করে ফারিনের ফোনের। দুদিন পর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ফোনকল। একসময় ফারিনকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে রাশেদ। ওদের আন্তরিকতায় ফারিনও মুগ্ধ। একসময় রাশেদকেও ফারিন নিয়ে আসে ওদের বাড়িতে। পরিচয় করিয়ে দেয় বন্ধু হিসেবে। ফারিনের বাবা রাশেদের ওপর ভরসা করে। ওকে জানায়, সামনেই ফারিনের বিয়ে। রাশেদ যেন বিয়ের সময় ওদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে। হতবাক হয়ে বুকের বা পাশে হাত রেখে চলে আসে রাশেদ।