এ টি এম শামসুজ্জামানের লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়েছে

কিংবদন্তি অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ শুক্রবার সকালে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়েছে।
রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। আজ দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. রবিউল হালিম। এ সময় তিনি জানান, এ টি এম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ সকালে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়েছে। তবে আরো ২৪ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামানের মেজ মেয়ে কোয়েল আহমেদ, সংগীতশিল্পী রফিকুল আলমসহ অনেকে।
মলমূত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তাঁর। এরপর শুক্রবার রাত ১১টায় পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৮৮ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে। শনিবার দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টার অপারেশন শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এ টি এম শামসুজ্জামানকে।
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় এ টি এম শামসুজ্জামানের। ‘জলছবি’তে প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালের দিকে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে আলোচনায় আসেন তিনি।
২০১৫ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পান গুণী এই অভিনেতা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘দায়ী কে?’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ ইত্যদি।