ভেঙে গেল টাইটানিকের রেকর্ড!
মার্ভেল ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বশেষ সিনেমা ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’ একে একে ভেঙে দিচ্ছে সব রেকর্ড। সর্বকালের সেরা আয়ে এই সিনেমা এখন দ্বিতীয় অবস্থানে। এর আগে রয়েছে জেমস ক্যামেরুনের ‘অ্যাভাটার’। অ্যাকশনধর্মী এই সিনেমা ভেঙে দিয়েছে বিশ্বখ্যাত ‘টাইটানিক’ ছবির আয়ের রেকর্ড।
মার্কিন সাময়িকী হলিউড রিপোর্টারের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বক্স অফিস সংগ্রহে ‘টাইটানিক’-কে টপকে গেছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’। এখন পর্যন্ত নতুন এই মার্ভেল সিরিজের আয় ২.১৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট অভিনীত ‘টাইটানিক’ আয় করেছিল ২.১৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ক্যামেরুনের ‘অ্যাভাটার’ বৈশ্বিক বক্স অফিসে আয় করেছিল ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’ আয় করেছে ১৪৫.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর বৈশ্বিক বাজারে আয় করেছে ২৮২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও দ্বিতীয় সপ্তাহে আয় ৫৫ শতাংশ কমে গিয়েছে, তবু সবমিলিয়ে আয় হয়েছে ৪২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’-এর পোস্টার। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বকালের সেরা বক্স অফিস হিট হতে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’-এর প্রয়োজন আর ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পুনরায় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ‘অ্যাভাটার’, তাই এ ছবির আয় ২.৭৪৯ বিলিয়ন থেকে ২.৭৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
বিশ্বব্যাপী দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ে পাঁচ সিনেমার পাশে জায়গা করে নিয়েছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’। ‘অ্যাভাটার’ (২.৭৮ বিলিয়ন), ‘টাইটানিক’ (২.১৮৭ বিলিয়ন), ‘স্টার ওয়ারস : দ্য ফোর্স অ্যাওকেনস’ (২.০৬ বিলিয়ন) ও ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিটিনিটি ওয়ার’ (২.০৪ বিলিয়ন ডলার) আয় করে।
মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ২২ নম্বর ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’। ছবিতে রয়েছে হাল্ক, থোনস গমোরা, ক্যাপ্টেন আমেরিকাসহ হাজারো চরিত্র। যাঁরা ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’ দেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ড গেম’ নিয়ে আগ্রহ আকাশছোঁয়া। এটিই অ্যাভেঞ্জার্সের শেষ সিরিজ।