দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে ‘অশ্লীলতার’ অভিযোগের পর হাসিমুখে অভিনেত্রী
অনলাইন ডেস্ক
১৬:৩১, ২৯ আগস্ট ২০১৯
অনলাইন ডেস্ক
১৬:৩১, ২৯ আগস্ট ২০১৯
দ্বিতীয় স্বামী অভিনব কোহলির সঙ্গে শ্বেতা তিওয়ারি। ছবি : সংগৃহীত
কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্বামী অভিনেতা অভিনব কোহলির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভারতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। অভিযোগ, অভিনব মাতাল অবস্থায় ঘরে ফিরে প্রথম পক্ষের মেয়ে পলক তিওয়ারিকে মারধর করেছেন। অকথ্য ভাষায় গালাগালও করেছেন। ২০১৭ সাল থেকে অভিনব নাকি পলককে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দেখাতে শুরু করেন। অভিনবকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পান অভিনব।
সেই বিতর্কের পর মনে হচ্ছে, এবার স্বাভাবিক জীবন ও সুখকর দিনে ফিরেছেন শ্বেতা তিওয়ারি। ‘কৌসুতি জিন্দেগি কে’ খ্যাত অভিনেত্রী নিজের একটি হৃদয় উষ্ণ করা ছবি শেয়ার করলেন। ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, সেই বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠেছেন অনেকখানি।
ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে একটি সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন শ্বেতা তিওয়ারি। ছবিতে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন সংক্রামক হাসি। কালো রোদচমশা পরে বই হাতে পোজ দিয়েছেন অভিনেত্রী। ছবিটি নেটিজেনদের নজর পেতে সময় লাগেনি। শ্বেতার ১৯ বছরের আদুরে মেয়ে পলক তিওয়ারিও মুগ্ধ মায়ের ছবিতে। মন্তব্য-ঘরে তাঁর আদুরে উক্তি, ‘স্মোল মম।’
এর আগে অভিনবর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়ে পলক তিওয়ারি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে কখনোই নির্যাতন করেননি অভিনব কোহলি বা আপত্তিকর স্পর্শও করেননি। তবে তিনি ধারাবাহিকভাবে আমাকে অশ্লীল কথা বলতেন, বাবা হিসেবে যা একেবারেই অশোভনীয়।’
প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১৩ সালে অভিনব কোহলির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। তাঁদের ঘরে রয়েছে এক পুত্রসন্তান। আর শ্বেতা-রাজার কন্যাসন্তান পলক তিওয়ারি।
এর আগে পলক তিওয়ারির বাবা অভিনেতা রাজা চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, তিনি একবার শ্বেতা-অভিনবর মালাডের বাড়িতে যান মেয়ে পলকের সঙ্গে দেখা করতে। আর সেখানেই অভিনবর অশ্লীলতা তাঁর চোখে পড়ে। মেয়েকে অশ্লীলভাবে ছোঁয়ার অভিযোগে ওই দিন অভিনবর সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয় এবং শেষে তা হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছায়।
অবশ্য জামিন পাওয়ার পর নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিনব বলেছিলেন, প্রতিটি ঘটনার দুটো দিক রয়েছে। ক্রমশ বিষয়টি প্রত্যেকের সামনে আসবে।