কালো-সাদার দ্বন্দ্বে হাসান ও নিথর

‘স্বপ্নের কারিগর’-এর ব্যানারে নির্মিত হলো একক নাটক ‘কালো জামাই’। আর আইচ সোহেল পরিচালিত নাটকটি রচনা করেছেন রাজীব মণি দাস। নির্বাহী প্রযোজক বেগম রোকেয়া।
গল্প নিয়ে পরিচালক আর আইচ সোহেল বলেন, ‘আবুল কালামের (আ খ ম হাসান) গায়ের রং কুচকুচে কালো বলে গ্রামের মানুষের কাছে সে কালু নামে পরিচিত। তবে কালু সব সময় হাসিখুশি থাকে। বাসর ঘরে কুচকুচে কালো কালুকে দেখে তার স্ত্রী মিথিলা (অরিন) অজ্ঞান হয়। গ্রামের মানুষের কাছে রটে যায় কালুর বউ বাসর ঘরে ফিট খাইছে। এ ঘটনার পর গ্রামের অনেকে কালুকে এবার কাউয়া বলতে শুরু করে। অন্যদিকে কালুর ভায়রা ভাই রিজু (নিথর মাহবুব) সুন্দর হওয়ার কারণে নিজের প্রশংসায় নিজেই সে সব সময় পঞ্চমুখ থাকে। আর সুযোগ পেলেই নিজের সঙ্গে তুলনা করে কালুকে হেয় করার চেষ্টা করে। সে নিজেকে অনেক স্মার্ট মনে করে। রিজুর স্ত্রীও (সীমানা শীলা) সাদা জামাই পেয়ে কিছুটা অহংকারী, জামাইকে খুশি রাখতে সব সময় সাজুগুজু করে থাকে সে।’
কালুর স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়িতে চলে যায়। রাতের আঁধারে কালু তার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে ডাকাত সন্দেহ করে গ্রামের মানুষ তাকে গণধোলাই দেয়। গ্রামের মানুষ ধারণা করে, মুখে কালি মেখে কালু ডাকাতি করতে এসেছে। কালুর ভায়রা ভাই ও শ্বশুর তাকে গ্রামবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরিবারের সবাই মিলে মিথিলাকে বোঝায়। কিন্তু সে কালুর সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কালো হওয়ার জন্য কালুর দোষটা কী, বুঝতে পারে না সে। কালু ভাবে, ফর্সা কিংবা কালো সবই তো আল্লাহপাকের সৃষ্টি। কালু মনে মনে স্থির করে, তার ভাগ্যে যা লেখা আছে তা-ই হবে। হয়তো বা তার স্ত্রীর ভুল একদিন ভাঙবে, হয়তো বা কখনোই ভুল ভাঙবে না। এমনি দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ‘কালো জামাই’ নাটকের কাহিনীচিত্র।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে আ খ ম হাসান, অরিন, নিথর মাহবুব, সীমানা শীলা, বিপ্লব প্রসাদ, আফরোজা হোসেন, জাদু ফরিদ, ফরহাদ সরকার, আফতাব উদ্দিন, নবাব তুহিন প্রমুখকে।
চিত্রগ্রহণ সুজন মেহমুদ, প্রধান সহকারী পরিচালক এম এস সরকার ও মীর সাখাওয়াত আর সম্পাদনায় মমিন সরকার। পরিচালক সূত্রে জানা যায়, নাটকটি যেকোনো একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে।