না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক মোহন খান। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)।

জানা গেছে, মোহন খানের মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছিল। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ডিরেক্টর'স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর গণমাধ্যমে মোহন খানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, ডিরেক্টর'স গিল্ডের সম্মানিত সদস্য, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও নাট্য নির্মাতা মোহন খান ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার বাদ জোহর লালমাটিয়া জামে মসজিদ (বিবি মসজিদ) প্রাঙ্গণে মোহন খানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

৬৫ বছর এই নির্মাতাকে বাংলা নাটকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বলা হয়। দেশের নাট্য অঙ্গনে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মোহন খানের বিচরণ ছিল। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ শুরু করেন। পাশাপাশি নাটক রচনাতেও মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ নাটক পরিচালনা ও ২০০ নাটক রচনা করেছেন মোহন খান। সমুদ্রে গাংচিল, গাংচিল ভালোবাসা, জোনাকীর গল্প, দূরের মানুষ, মধ্যরাতের অশ্বারোহী, বেলাভূমি, সেই আমরা, নীড়ের খোঁজে গাঙচিল,জেগে উঠো সমুদ্র,আঙ্গুর লতা, হৃদয়পুরের গল্প, মেঘবালিকা ও সমুদ্র সীমানায় তার উল্লেখযোগ্য নাটক। 

তাঁর মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছেন নাট্যাঙ্গণের তারকা, নির্মাতা থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পীরা।

সবশেষ তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।