ভালোবাসা দিবসে ‘আরারাত’
আত্মা বাজি রেখে ভয়ঙ্কর জুয়া খেলার গল্পে গেল বছরের শুরুতে ভিকি জাহেদ নির্মাণ করেছিলেন ‘দ্য সাইলেন্স’। অভিনয় করেছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী, শ্যামল মাওলা, আজিজুল হাকিম, বিজরী বরকতুল্লাহ। ভালোবাসা দিবসে একই টিমের নতুন ওয়েব সিরিজ ‘আরারাত’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
ক‘দিন আগে এর তিনটি পোস্টার প্রকাশের পর বেশ কৌতূহলের জন্ম দেয় এবং দুদিন আগে দুই মিনিটের ট্রেলার প্রকাশের পর আরো বেশি আগ্রহ বাড়ায়। যেখানে দেখা মিলেছে, অন্যরকম প্রেমের গল্পের আভাষ! 'আরারাত'র মাধ্যমে ২০২৪ সালে নতুন কাজ নিয়ে ফিরছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন।
ট্রেলারটি দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে এটি ‘দ্য সাইলেন্স’-এর সিক্যুয়ালে কিনা! পরিচালক ভিকি জাহেদ বললেন, আমিও দেখেছি ট্রেলার দেখে অনেকেই একই প্রশ্ন করছেন। দর্শকরা কাজটি নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাদের এই কৌতূহল আমি উপভোগ করছি। পুরো সিরিজ দেখলে তারা বুঝতে পারবেন সিক্যুয়ালে কিনা। তবে এতটুকু বলতে পারি, এটি লাভ স্টোরি। তবে আর দশটা ভালোবাসার মতো গল্পের মতো এটি না।
প্রকাশিত ট্রেলার দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে, 'আরারাত'র গল্পটা ভালোবাসার এবং প্রতারণারও। ভালোবাসার মানুষ যদি প্রতারণা করে, সবাই কি সহ্য করতে পারে? গল্পটা বিশ্বাস এবং ঘৃণারও। নির্মাতা বলছেন, এসব উত্তর নিয়েই সাজানো ‘আরারাত’। ট্রেলারের শেষ দৃশ্যে বিজরী বরকতউল্লাহর মুখে একটি সংলাপের মাধ্যমে বলা হয়েছে ‘আরারাত’ নামটির অর্থ। আরারাত হলো একটি পর্বত। এর অবস্থান তুরস্ক ও আর্মেনিয়ান সীমান্তের মাঝামাঝি।
এই ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, এতে রুপা নামে একজন সহজ-সরল নারী আমি। যার একটি সুন্দর সংসার রয়েছে। স্বামীকে নিয়ে ভালোই দিন কাটছিল। হঠাৎ জীবনে আমূল পরিবর্তন চলে আসবে। ওলটপালট হয়ে যাবে সব। কেন কী কারণে তা জানতে এটি দেখতে হবে। ভিকি ভাই সবসময় দর্শকের মানসিকতা নিয়ে গবেষণা করেন। খুঁজে বের করেন বাস্তব জীবনে দর্শক কী চায়। সে জায়গা থেকে এবারের কাজটিও অসাধারণ এক অভিজ্ঞতার। আমি এবং আমাদের সব আর্স্টিস্ট নিজেদের সেরাটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এ কাজটি দর্শকের উপভোগ্য হবে।
মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের প্রযোজনায় কেএস ফিল্মস প্রডাকশনের ব্যানারে নির্মিত ছয় পর্বের 'আরারাত' সিরিজটি ১৫ ফেব্রুয়ারি বিঞ্জে মুক্তি পাবে।
ভিকি জাহেদ বলেন, এই গল্পটা অনেকদিন থেকে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। এখানে সম্পর্কের অন্ধকার দিকগুলো বেশি উঠে এসেছে। ম্যারিড কাপলদের মধ্যে ঝগড়া হয় হুট করে অনেক বছরের চেনা মানুষটা অচেনা হতে থাকে এবং সে কতটা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে যেতে পারে সেটাও দেখানো হচ্ছে। রিয়েল লাইফে এমন কাপল দেখেছি। আমার কাছে মনে হয়, প্রায় প্রত্যেকে এই গল্প নিজের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারবে। আমার ট্রেডমার্ক কিছু থাকে যেখানে থ্রিলার, মিস্ট্রি, রোমান্স, হিউম্যান রিলেশনশিপের সব উপাদান আছে। দিনশেষে এটা ভালোবাসার গল্প যেখানে পজিটিভ একটি বার্তা দেয়া হয়েছে।