নিপুণের রিট নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে মিশা-ডিপজল প্যানেল। বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান অভিনেত্রী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। কিন্তু হঠাৎ গতকাল বুধবার (১৫ মে) নির্বাচনেৃর ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন নির্বাচনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে এ রিট করেন অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায়। নিপুণের এই পদক্ষেপে বেজায় ক্ষুব্ধ জায়েদ খানও।
বুধবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়ে তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ লোভে পড়ে, বেহায়া হয়ে, একটা মেয়ে যোগ্যতাহীনভাবে একটা চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য কতটা নিচে নামতে পারেন তার প্রমাণ উনি দেখিয়ে দিয়েছেন। নতুন কমিটিকে মালা পরিয়ে দিয়ে বলে গেল সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সব মেনে নেওয়ার পরে এখন তাঁর মনে হয়েছে যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কিছু লোক বুঝিয়েছেন। ওনার কারণে সব শিল্পীরা নিচে নেমে যাচ্ছেন।’
নিপুণকে শিল্পী নামের কলঙ্ক বলেও মন্তব্য করেন জায়েদ বলেন, ‘এ ধরনের নোংরা মনমানসিকতার শিল্পীকে সকল শিল্পী মিলে প্রতিহত করবেন। তবে নতুন কমিটিকে মালা পরিয়ে দিয়ে এখন আবার উল্টো কথা বলেন। এটা দ্বৈতনীতি। এত জঘন্য শিল্পী হতে পারেন না। উনি শিল্পী নামের কলঙ্ক।’
দুই বছর আগেও শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ। সেবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খানকে নিয়ে আপত্তি জানান অভিনেত্রী। এবার পুরো শিল্পী সমিতির কমিটির বিরুদ্ধেই আদালতে গেলেন নিপুণ আক্তার। অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন তিনি।
গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে মিশা ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।