টিএসসিতে সঞ্জীব উৎসব
নাগরিক জীবনের প্রেম, বিরহ, বঞ্চনা, আক্ষেপ ও প্রতিবাদের ছাপ রেখে সংগীত ও সাংবাদিকতায় অসামান্য মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছেন সঞ্জীব চৌধুরী। তরুণ প্রজন্মের কাছে চির প্রাসঙ্গিক এই সংগীতশিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করে তরুণ সংগীতপ্রেমীরা।
সে ধারাবাহিকতায় আজ ২৫ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ সঞ্জীব উৎসব। এবারের উৎসবে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সাহস মোস্তাফিজ, তুহিন কান্তি দাস, লিসান অ্যান্ড দ্য ব্লাইন্ডমেন, নাহিদ হাসান, ফারাহ দীবা তাসনিম, রাজেশ মজুমদার, অন্তু দাশ ও সাদী শাহনেয়াজ।
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। আয়োজন সহযোগী হিসেবে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় উৎসবটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড ‘দলছুট’। ১৯৬২ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জীব চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র সঞ্জীব ছিলেন সৃজনশীল লেখক, শিল্পী ও সাংবাদিক। দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা।
সঞ্জীব চৌধুরীর গাওয়া গান এখনো সমানভাবে এ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়। তাঁর কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘এই কান্নাভেজা আকাশ আমার ভালো লাগে না’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক গান।