‘দাগি’ মুক্তিতে আর বাধা নেই

মুক্ত হলো ‘দাগি’। শাস্তি কাটিয়ে যেমন দাগি আসামি কারাগার থেকে মুক্ত হয়, তেমনি সেন্সরের পরীক্ষা–নিরীক্ষা কাটিয়ে ‘দাগি’ সিনেমা এখন সবার সামনে আসতে প্রস্তুত।
২৪ মার্চ সিনেমাটি পেয়েছে সেন্সর সার্টিফিকেট। এতে করে ঈদের সিনেমার দৌড়ে একধাপ এগিয়ে গেল ‘দাগি’। দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর দ্বিতীয় এ সিনেমাটি প্রদর্শনে আর কোনও বাধা রইল না।
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ ও আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং সহ–প্রযোজনায় আছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। শিহাব শাহীন পরিচালিত সিনেমাটি পেয়েছে ইউ গ্রেডের (ইউনিভার্সাল গ্রেড) সেন্সর সার্টিফিকেট। অর্থাৎ সব বয়সীরাই দেখতে পারবেন এটি। সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে সিনেমার প্রযোজক আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড–এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘ঈদে সবাই মিলে যেন সিনেমা উপভোগ করতে পারেন, তেমন সিনেমাই আমরা করতে চেয়েছি এবং সেটি করতে পেরেছি বলে মনে হয়। কারণ সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড সিনেমাকে ইউ গ্রেড দিয়েছে।’
‘দাগি’ মুক্তি বা প্রায়শ্চিত্তের গল্প বলে জানিয়েছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত তিনি। জানান, ‘দাগি’ গল্প নির্ভর সিনেমা, দেখার মতো অভিনয়ের সিনেমা। এমন গল্প দেশে হয়নি বললেই চলে। এর ধারণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নিশান–জেরিনের ভালোবাসা–বিরহের গল্প ‘দাগি’। একই সঙ্গে চরিত্র দুটির অনুশোচনার গল্পও। প্রকাশিত টিজার এবং রোমান্টিক গানে দর্শকরা এটা বুঝতে পেরেছে আশা করি। আবার এখানে কারাগারের ব্যাপারও আছে। আর জেলের দাগ একবার যার লাগে, বাকি জীবন সে দাগি হয়ে থাকে। এখান থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ক্ষমার বিষয়টি। যা আমাদের জীবনে তো বটেই, ধর্ম ও মানবতারও অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। তাই আমরা বলছি, ‘দাগি’ মুক্তি বা প্রায়শ্চিত্তের গল্প।’’
সৈয়দপুর, রাজশাহী, ঢাকায় হয়েছে ‘দাগি’ সিনেমার শুটিং। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপুসহ অনেকে। সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন নিজেই।