অ্যাজমা বা হাঁপানি কি বংশগত রোগ
অনেকে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন। জন্মগতভাবে অনেক শিশুর অ্যাজমা হয়। আবার বিভিন্ন বয়সে অ্যাজমার প্রকোপের কথা শোনা যায়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব অ্যাজমা বা হাঁপানি বংশগত রোগ কি না।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অ্যাজমা বা হাঁপানি সম্পর্কে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
অ্যাজমা অনেকের জন্মগতভাবে শুরু হয়ে থাকে। অনেকের কিছুটা বয়স অতিবাহিত হওয়ার পর ডায়াগনোসিস হয় যে তার অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা এই যে অ্যাজমা নিয়ে এত কথা বলছি, বাংলায় যেটিকে আমরা হাঁপানি বলছি, সেটি বলতে আসলে কী বোঝায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন বলেন, অ্যাজমা বা হাঁপানি হচ্ছে আমাদের শ্বাসনালি যেটি আছে, অতি সংবেদনশীল শ্বাসনালির দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ এবং যেটি অ্যালার্জিনের সংস্পর্শে এলে শ্বাসনালিটি সরু হয়ে যায় এবং সরু হয়ে গেলে কম বাতাস ঢোকে, ফলে আমরা শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকে চাপ অনুভব করি। এটিই হচ্ছে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ।
অনেকের জন্মগতভাবে এটি শুরু হয়ে থাকে, অনেকের একটি নির্দিষ্ট বয়স অতিবাহিত হওয়ার পর। সবার ক্ষেত্রেই জন্মগত থাকে কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন বলেন, এর প্রকৃত কারণ অজানা। কিন্তু কিছু কিছু টাইপ যদি আমরা বলি, অ্যালার্জিক স্পেসিফিক যেটা, সেটা চাইল্ডহুড বা অল্প বয়স থেকে হয়। আরেকটি হচ্ছে বেশি বয়সে বা থার্টি বা ফোর্টিতে হয়। এগুলো জেনেটিক কিছু ফ্যাক্টর, ফ্যামিলিয়াল কিছু ফ্যাক্টর এবং এনভায়রনমেন্টাল কিছু ফ্যাক্টর থেকে হয়। বংশগতভাবে আছে। তাদের মধ্যে যখন এনভায়রনমেন্টাল জিনিস অ্যালার্জিন হিসেবে কাজ করে, তখন এর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও বিশেষ ধরনের কিছু অ্যাজমা আছে। যেমন অকুপেশনাল অ্যাজমা। কেউ গার্মেন্টেসে কাজ করেন বা তুলার ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন; অফিসে যাওয়ার পরে অ্যালার্জিন থেকে তাঁর হচ্ছে। আরেকটা হচ্ছে, কেউ এক্সারসাইজ করলে শুধু শ্বাসকষ্ট ফিল করে। কতগুলো ওষুধ থেকেও হতে পারে। যেমন অ্যাসপিরিন, বিটাব্লকার ইত্যাদি। এগুলো খেলে হতে পারে। সেটা ওষুধের মাধ্যমে হচ্ছে। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে কারও শ্বাসকষ্ট নেই, শুধু কাশি। যেটা রাতে বেশি হয়।
অ্যাজমার ক্ষেত্রে পুরুষ বা মহিলার মধ্যে কোনও তারতম্য দেখা দেয় কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন বলেন, সাধারণত যেটি বয়স হলে হয়, সেটি মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। আর যেটা অল্প বয়সে হয়, চাইল্ডহুড থেকে, সেটি দুই লিঙ্গেই হতে পারে। তবে ছেলেদের বেশি হয়।
অ্যাজমার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।