অ্যালার্জির কারণে কি হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ে
অনেকে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন। জন্মগতভাবে অনেক শিশুর অ্যাজমা হয়। আবার বিভিন্ন বয়সে অ্যাজমার প্রকোপের কথা শোনা যায়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, অ্যালার্জির কারণে হাঁপানি রোগের ঝুঁকি বাড়ে কি না।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অ্যাজমা বা হাঁপানি সম্পর্কে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
হাইপারসেনসিভিটি ও অ্যালার্জি একে অপরের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন বলেন, এয়ারওয়ে অ্যাজমা মানেই এয়ারওয়ে হাইপারসেনসিভিটি। আমাদের শ্বাসনালিটা অতি সংবেদনশীল। যে কারণে অ্যালার্জিন গেলে প্রদাহ তৈরি হচ্ছে ও প্রদাহ তৈরি হলেই শ্বাসনালিটা মোটা হয়ে যাচ্ছে, সরু হয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ হচ্ছে। ফলে শ্বাসনালি সরু হচ্ছে এবং বাতাস কম যাচ্ছে।
অনেকের ক্ষেত্রে আমরা যেটি দেখতে পাই, বিভিন্ন কিছু হাতে বা শরীরে স্পর্শ করলে সেটি লাল হয়ে যাচ্ছে কিংবা খাবার থেকে নানা ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কি তাদের আমরা অ্যাজমা রয়েছে, এ জিনিসটা ধরতে পারি কি না। কারণ, অনেকে মনে করে থাকে তার অ্যালার্জি-জাতীয় সমস্যা রয়েছে, তাই তার অ্যাজমার সমস্যাও রয়েছে। সে বিষয়টি আসলে কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন বলেন, হ্যাঁ, আমরা অনেক রোগী পাই, যাদের কিছু খাবার, যেমন চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন অথবা কোনও পশুর লোমের সংস্পর্শে এলে, ডাস্ট, এনভায়রনমেন্টের পলিউশনের জন্য শরীর লাল হয়ে যায়, চাকা-চাকা হয়ে যায় অথবা চুলকায়। ঠাণ্ডা লাগলে তার অনেক হাঁচি হচ্ছে, নাক দিয়ে প্রচুর পানি পড়ছে, কাশি হচ্ছে। এটিও কিন্তু এক ধরনের অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এবং তাদের মধ্যে অ্যাজমার প্রবণতা বেশি। এটি যখন হবে, তখন অবশ্যই খুঁজতে হবে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা আছে কি না। সেটা শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে যে তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং হতে পারে।
ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে এবং সাথে ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিসের যে ব্যাপারটা রয়েছে, সেটি আসলে কতটুকু নির্ভর ধরা হয় এই অ্যাজমা রোগ ডায়াগনোসিসের ক্ষেত্রে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কে এম মুর্শেদ মামুন বলেন, অ্যাজমা অনেকটা ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস করা যায় এবং সাথে কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা যায়। তবে কারও যখন অ্যাজমার লক্ষণগুলো থাকে, তখন ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিসই করা যায়। এ ছাড়াও কিছু রক্তের পরীক্ষা, যেমন সিবিসি বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, যেটা ইয়োসিনোফিল কাউন্টটা বেড়ে যায় এবং একটা এক্সরে করা যেতে পারে।
অ্যাজমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।