আপেল ও কমলার খোসা ফেলবেন না, কাজে লাগান

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

ফলমূল ও শাকসবজি আমাদের খাদ্যতালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অনেকে জানেন না, এর খোসাও খাদ্য আঁশ, ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন ও ও মিনারেলে ভরপুর।

তেমনই দুটি ফল আপেল ও কমলা। এদের খোসায় রয়েছে পুষ্টি উপাদান। তাই না ফেলে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। চলুন, চোখ বুলিয়ে নিই—

আপেল

গবেষণা অনুযায়ী, আপেলের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন—ক্যাচিন, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, প্রোসিয়ানিডিনস, ইপিক্যাচিন প্রভৃতি। এ ছাড়া ভেতরের অংশের চাইতে খোসায় রয়েছে দুই থেকে ছয় গুণ বেশি ফেনোলিক উপাদান। খোসাসহ আপেল খেলে ক্রনিক ও প্রদাহজনিত রোগ প্রতিরোধ করে।

এ ছাড়া খোসা দিয়ে ঘরে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার তৈরি করা যায়। স্মুদি, জুস বা অন্য ফলের শরবতে যুক্ত করা যায়। আপেলের খোসা শুকিয়ে পাউডার তৈরি করে তা দিয়ে ফেসপ্যাকও তৈরি করা যায়।

কমলা

গবেষণা বলছে, কমলার খোসা খাদ্য আঁশে সমৃদ্ধ এবং এতে ফেনোলিক উপাদান, যেমন—ফ্ল্যাভোনয়েড, ফ্ল্যাভোনল, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং গ্লাইকোসিলেটেড ফ্ল্যাভোন রয়েছে। এ ছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, অ্যান্টি-হাইপারলিপিডমিক, অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক, অ্যান্টি-এথারোসক্লিরোসিসসহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।

কমলার খোসা চায়ে যুক্ত করতে পারেন। শুকনো খোসা এবং এর পাউডার দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে এটি ত্বকে ঘষতে পারেন। আর বডি স্ক্রাব হিসেবে তো অনেকের কমলার খোসা পছন্দের।