উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ৫ সুপারফুড

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- পিন্টারেস্ট

হরমোনের পরিবর্তন, দূষণ, আবহাওয়া এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। ত্বকে ব্রণ, কালো দাগ, ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে শুধুমাত্র ভাল ক্লিঞ্জিং এবং ময়শ্চারাইজ করলেই ত্বক স্বাস্থ্যকর থাকবে না। এজন্য খাদ্যভাসের দিকে নজর দেওয়া উচিত। খাদ্য শরীরের জ্বালানি  হিসাবে কাজ করে। তেলে ভাজা খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আপনি যদি উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান, তাহলে ৫টি খাদ্য আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করুন। যা কিনা ত্বকের সুপারফুড হিসেবে কাজ করে।

বিটরুট

বিটরুটে বেটালাইন নামক প্রদাহ বিরোধী যৌগ রয়েছে। যা ত্বকের লালভাব এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি লিভারকে ডিটক্সিফাই করে। যার ফলে ত্বকেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। নিয়মিত বিটরুট খেতে গালে প্রাকৃতিকভাবেই গোলাপী আভা দেয়। এটি খাওয়ার আদর্শ উপায় হল জুস বা সেদ্ধ করে খাওয়া। আবার সালাদের সাথেও মিশিয়ে খেতে পারেন।

শসা

শসাতে ৯৬% পানি থাকে। এটি ত্বককে সুপার হাইড্রেটিং রাখে। শসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন বিটা-ক্যারোটিন। যা ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করে। এটি খুব সহজেই সালাদ বা স্ন্যাক হিসেবে খাওয়া যায়। শসা মুখে লাগালেও পাওয়া যায় ভাল ফলাফল। এটি ত্বকের রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করে। ত্বকের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডো ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা তেল ত্বককে ইউভি-র ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। অ্যাভোকাডো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এটি কোলাজেন উত্পাদনকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে ত্বক টানটান হয়। বলিরেখা দূর হয়।

ক্যাপসিকাম

ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। এটি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে তুলে। যা ত্বকের টোন তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। ত্বকের সূক্ষ্ম রেখাগুলিকে মসৃণ করে। ক্যাপসিকামে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ রয়েছে। যা ত্বককে ফুলে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

পালং শাক

পালং শাক ভিটামিনে ভরপুর।  এটি ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। পালং শাকে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা আয়রন এবং ফোলেটের উপস্থিতি রক্ত ​​​​প্রবাহকে উন্নত করে। যা ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া