এই ৫ বিষয় না জেনে হলুদ খাবেন না

Looks like you've blocked notifications!
হলুদ বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করে। ছবি : সংগৃহীত

হলুদ রং ও গন্ধের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, এটি দেহ ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। কীভাবে এটি উপকারী?

হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। কারকিউমিনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী প্রভাব। এগুলো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ভারতীয় উপমহাদেশের এ জনপ্রিয় মসলার জরুরি কিছু গুণ জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি।

  •  প্রদাহরোধী  উপাদান

হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিনে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি কখনো কখনো প্রদাহরোধী ওষুধের মতো কাজ করে এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জয়েন্ট ব্যথা, আলঝেইমারস  ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা কমাতে হলুদ উপকারী।

  •  বিষণ্ণতা কমায়

বিষণ্ণতা বর্তমানের যান্ত্রিক জীবনে বেশ প্রচলিত ব্যাধি। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মনের এ রোগ প্রতিরোধেও হলুদ উপকারী। হলুদের কারকিউমিন বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করে এবং অনেক ক্ষেত্রে বিষণ্ণতারোধী ওষুধের মতো কাজ করে।

  • ডায়াবেটিস

কারকিউমিন প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করে রক্তের সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। ২৪০ জন প্রাপ্তবয়স্ক প্রি-ডায়াবেটিস রোগীকে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। তাঁদের টানা ৯ মাস হলুদের সাপ্লিমেন্ট খেতে দেওয়া হয়। ফলাফলে দেখা যায়, তাঁদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে গেছে।

  • ভাইরাল ইনফেকশন

কারকিউমিন বিভিন্ন ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।  তবে মনে রাখতে হবে, হলুদের মধ্যে কেবল ৩ শতাংশ কারকিউমিন রয়েছে। আমাদের দেহ ভালোভাবে কারকিউমিন শোষণ করতে পারে না। তাই একে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াই ভালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

  •  কোলেস্টেরল

কিছু গবেষণায় বলা হয়, হলুদ দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল, অর্থাৎ এলডিএল কমায়। এ ছাড়া হলুদ হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও সহায়ক। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, হলুদ হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কার্যকর।