কাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি
অনেকে স্তন ক্যানসারে ভুগছেন। ইদানীং স্তন ক্যানসারের হার বাড়ছে। এ জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। স্তনে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে কারা রয়েছেন।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হসপিটালে ক্যানসার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. লুবনা মরিয়ম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
৪০ বা ৪৫ বছরের পরে যেসব নারী স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. লুবনা মরিয়ম বলেন, অবশ্যই। আমাদের ব্রেস্টের ঝুঁকিকে তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। একটা হচ্ছে, যার পরিবারের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার আছে। অলরেডি মা, ফুপু, খালা; পারিবারিকভাবে ব্রেস্ট ক্যানসার আছে। সুতরাং, তার ঝুঁকিটা বেশি। আরেকটা গ্রুপ আছে, তাঁদের পরিবারের কোনও হিস্ট্রি নেই, কিছুই নেই, সাধারণ জীবন যাপন করছে। তারা কি রিস্কে নেই? অবশ্যই তাদের রিস্ক আছে। তাদের আমরা বলি স্পোরোডিক্যাল। একটা ফ্যামিলিগত আসবে, আরেকটা স্পোরোডিক্যালি আসবে। কোন কারণে, আমরা ওভাবে বলতে পারব না। সেজন্য আমি বলেছি, ৪০ বছরের পর থেকে ডাক্তারকে দেখাবে এবং ৪৫ বছরের পর মেমোগ্রাফি করবে।
ডা. লুবনা মরিয়ম বলেন, যাদের ঝুঁকি বেশি, যাদের ফ্যামিলিতে ক্যানসারের হিস্ট্রি আছে, বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যানসার অথবা ওভারি ক্যানসার, তাদের স্ক্রিনিং শুরু করতে হবে আরও আগে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করলেও তার স্ক্রিনিংয়ে যেতে হবে। যার কোনও লক্ষণ নেই, সে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে, কিন্তু তার পরেও তারা আসবে। কারণ কী। প্রতি আটজন মহিলা তার জীবদ্দশায় কোনও সিম্পটম নেই, পরিবারের কোনও হিস্ট্রি নেই, তার পরেও তার ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আটজনের মধ্যে একজন কে হবে, কেউ জানে না। আমি হতে পারি, আরেকজন হতে পারে। তাই স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে আটজনের মধ্যে যদি আমরা একজনকে ধরে ফেলতে পারি, তার জীবনটা আমরা রক্ষা করতে পারব।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।