কিডনির পাথর প্রতিরোধে কী কী করণীয়
অনেকেই কিডনিতে নানা ধরনের রোগে ভুগছেন। কিডনিতে পাথর হয় অনেকের। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কিডনির পাথর প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
কিডনির পাথর প্রতিরোধে কী কী করণীয়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, অনেক রোগী এ প্রশ্ন করেন, কীভাবে কিডনির স্টোন প্রিভেন্ট করা যায়। প্রথমেই বলে রাখি, যদি কারও স্টোন অলরেডি হয়ে থাকে, আপনার ডায়াগনোসিস হয়ে থাকে, তাহলে অহেতুক বিলম্ব না করে যে কোনও একজন ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, পাথর ছোট থাকলে এটা ম্যানেজ করা বা বের করা যতটা সহজ, যত বড় হয় তত কঠিন হয়ে পড়ে।
অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, যাতে পাথর না হয়, সেজন্য কতগুলো উপদেশ আমরা দিয়ে থাকি। তার মধ্যে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে যে পানি পরিমাণমতো খাওয়া। এখন পরিমাণমতো পানি খাওয়া ডিপেন্ড করে মানুষ কী জাতীয় কাজ করছে, তাপমাত্রা কত, কোন পরিবেশে কাজ করছে। যেমন যারা রাস্তায় কাজ করে, রিকশা চালায়, ওরা চার-পাঁচ লিটার পানি খায় দৈনিক। তার পরেও তাদের প্রস্রাবের রংটা গাঢ় কালার হয়। মানে তারা ডিহাইড্রেটেড। যারা ডিহাইড্রেটেড থাকে, তাদের স্টোন হওয়ার চান্স থাকে। তাদের আরও পানি খেতে হবে। আর আমরা যারা অফিসে বা এসির মধ্যে থাকি, দুই লিটার দেড় লিটার তিন লিটার পানি খেলেই যথেষ্ট। তো মেইন জিনিস হচ্ছে, প্রস্রাবের রং যাতে গাঢ় কালার না হয়। তাহলে স্টোন ফরমেশনের সম্ভাবনা থাকবে।
অধ্যাপক ডা. আফজার উদ্দীন শেখ যুক্ত করেন, যাদের বারবার পাথর হয়, তাদের আমরা বলি, দৈনিক দুই লিটার ইউরিন আউটপুট হতে হবে। তাহলে সম্ভাবনা কমে। ইনফেকশন হলে ইমিডিয়েটলি ট্রিটমেন্ট করতে হবে। যেসব জিনিসে ক্যালসিয়াম আছে, সেগুলো পরিমাণমতো খেতে হবে। বেশি খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন সাইট্রিক বা লেবুর রস-জাতীয় জিনিস খাওয়া যেতে পারে। মেডিসিন আছে, সেটাও দেওয়া যেতে পারে। আর ইউরিক এসিড, স্টোন হলে রেড মিট খাওয়া যাবে না।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।