কীভাবে বুঝবেন আপনার শিশু নির্যাতনের শিকার

Looks like you've blocked notifications!

শরীরের মতোই মনের স্বাস্থ্য বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, কীভাবে অভিভাবকেরা বুঝবেন তাঁদের শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন টেক কেয়ার হসপিটালে মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড রিলেশনশিপ কাউন্সিলর এবং জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ফিজিওলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাদিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।

অভিভাবকেরা কীভাবে বুঝতে পারবেন; কারণ, শিশু তো নিজ থেকে অনেক ক্ষেত্রে বলবে না। সে ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা আসলে কী করে বুঝবেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, বাচ্চাকে সময় দিতে হবে। আজকাল বাবা-মা দুজনেই ওয়ার্কিং অনেকের ক্ষেত্রে। কিন্তু বাচ্চাকে কোয়ালিটি টাইম দিতে হবে। সারা দিনে যদি ২০ মিনিটও বাচ্চাকে টাইম দেওয়া হয়, সেটাও এনাফ। মা-বাবা যদি ব্যস্তও থাকে, প্রতিদিন বাচ্চার পাশে বসতে হবে। তার কাঁধে হাত রেখে বলতে হবে, আজ তোমার দিনটি কেমন কেটেছে। আপনি আপনার কথা তাকে বলবেন। সেও হয়তো তার কথা আপনার কাছে শেয়ার করবে। হয়তো সে বাড়িতে-স্কুলে খুব কাছের মানুষদের দ্বারা অ্যাবিউস হচ্ছে, যেটা আপনি জানেন না। তার সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে আমি এখানে ফোকাস করব, যৌন নির্যাতনের বিষয়টা। বাচ্চারা তখন নিজেকেই দোষী ভাবে এবং সবাইকে বলতে ভয় পায়।

ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, অনেক মা-বাবা ভাবে যে ছেলেরা বোধহয় সেক্সুয়ালি অ্যাবিউসড হয় না। কিন্তু ছেলেমেয়ে উভয়ই অ্যাবিউসড হচ্ছে। হিস্ট্রি নিলে তা-ই দেখা যায় এবং বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকে বোঝাতে হবে। আমরা যেমন বোঝাই, একটা গরম কাপ আছে, চা আছে, তুমি যদি গরম কাপে হাত দাও তাহলে গরম লাগবে। অথবা একটা বাটিতে বরফ আছে। তুমি ওটা ধরলে হাতে ঠাণ্ডা লাগবে। ঠিক তেমনই হোয়াট ইজ গুড টাচ ও হোয়াট ইজ ব্যাড টাচ, তাকে কিন্তু ছোটবেলা থেকে বোঝাতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে, তোমার প্রাইভেট পার্টসে তুমি কখনও কাউকে হাত দিতে দেবে না। আমি তোমার বাবা বা মা, আমি তোমাকে কোলে নিচ্ছি, আদর করছি; দিস ইজ গুড টাচ। কিন্তু কেউ যদি তোমার... প্রাইভেট পার্টস বলতে, আমি কয়েকটা স্কুলে ক্লাস নিয়েছি বাচ্চাদের, তখন আমরা ডামি দিয়ে বুঝিয়ে দিই যে লিপ এরিয়া, চেস্ট এরিয়া এবং বাচ্চাদের বোঝার সুবিধার্থে, বাচ্চারা যে হাফপ্যান্ট পরে, সামনে ও পেছনে; এগুলো তোমার প্রাইভেট পার্টস। এখানে তুমি ছাড়া আর কেউ টাচ করতে পারবে না। এ বিষয়গুলো ছোটবেলা থেকে বোঝাতে হবে। যখনই কেউ টাচ করবে, তুমি কী করবে। তুমি নো বলবে, না বলবে এবং সেফ সাইডে চলে যাবে।

শিশু নির্যাতন সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।