কীভাবে বুঝবেন আপনার শিশু রক্তশূন্যতায় ভুগছে

Looks like you've blocked notifications!

আমাদের দেশে অনেকে শিশুই রক্তশূন্যতায় ভোগে। এ নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। নানা কারণেই রক্তশূন্যতা হতে পারে। জন্মগত কারণ থাকতে পারে। পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবেও রক্তশূন্যতা হতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, কীভাবে বুঝবেন আপনার শিশু রক্তশূন্যতায় ভুগছে।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর রক্তশূন্যতা নিয়ে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।

শিশুদের রক্তশূন্যতা বলতে আসলে কী বোঝায়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল টার্মে আমরা রক্তশূন্যতাকে এনিমিয়া বলি। রক্তের হিমোগ্লোবিন কম। হিমোগ্লোবিন কত কমলে আমরা এনিমিয়া বলি? ডব্লিউএইচও বলে, বারোর কম যদি হিমোগ্লোবিন হয়, তাহলে এনিমিয়া। কিন্তু দেখা গেছে আমাদের মতো এশিয়ান কান্ট্রিতে বারোর নিচে হলে অনেক বেশি হয়। কিন্তু শিশুদের বেলায় এই লেভেলটা মেইনটেইন করা যায় না। কারণ, শিশুদের এনিমিয়া আছে কি না, সেটা বয়সের ওপর নির্ভর করে। যদি নিউবর্ন হয়, তার যদি হিমোগ্লোবিন দশের কম হয় বা বারো হয়, তাহলে এটা এনিমিয়া। কারণ, নিউবর্নের হিমোগ্লোবিন হবে সতেরো বা আঠারো।

সবার ক্ষেত্রে এর রেঞ্জ কত, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম বলেন, সবার ক্ষেত্রে বারোর বেশি লাগবে। কিন্তু সবার বেলায় বারোর নিচে হলেই এনিমিয়া বলব না। যেমন নয় মাস বা এক বছরের বাচ্চা, তার যদি হিমোগ্লোবিন দশও হয়, তার এনিমিয়া বলা যাবে না। হিমোগ্লোবিন যদি বয়সের অনুপাতে কমে অথবা রেড সেল কমা, যদি বয়সের অনুপাতে কমে তখনই আমরা বলি রক্তশূন্যতা।

শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কত, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু যদি নবজাতক হয়, তার স্বাভাবিক ১৭। শিশুর যদি এক বছর বয়স হয়, তার স্বাভাবিক ১০। শিশু যদি ১৪ বা ১৫ বছরের হয়, তার জন্য ১২। এই যে পার্থক্য, নিউবর্নের জন্য একরকম, এক বা দেড় বছরের জন্য একরকম হবে, ১২ থেকে ১৫ বছর হলে তাদের ১২-এর ওপরে হওয়া লাগবে।

শিশু যে রক্তশূন্যতায় ভুগছে, এটি তার মা-বাবা বা অভিভাবক কীভাবে বুঝবেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে এনিমিয়া হলে দুর্বলতা হবে। যেমন বাচ্চা খেলাধুলা কম করবে, খাওয়ার অরুচি হবে, এনিমিয়ার জন্য ফ্যাকাশে দেখা যাবে। আবার বিভিন্ন ধরনের এনিমিয়া আছে। রক্তশূন্যতা যদি আয়রনের অভাবে হয়, তাহলে স্কুল-গোয়িং বাচ্চাদের স্কুলের অ্যাটেনডেন্স বা পারফরম্যান্স কম হবে, স্মরণশক্তি কম হবে।

শিশুর রক্তশূন্যতা সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।