কোন বয়সে ও কাদের কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়
অনেকে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা, জীবন যাপনে অনিয়মের কারণে কিডনিজনিত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব, কিডনি প্রতিস্থাপন বলতে কী বোঝায় এবং কোন বয়সে ও কাদের কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পর্কে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
কিডনি প্রতিস্থাপন বলতে আসলে কী বোঝায় এবং কখন বা কাদের ক্ষেত্রে সেটি করা হয়ে থাকে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপন বলতে বোঝায় একজনের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে আরেক জনের শরীরে লাগানো। এই লাগানোর অনেকগুলো প্রসিডিউর আছে। শুরুতে বলছি, কাদের লাগানো যাবে। কিডনি যখন সম্পূর্ণরূপে ড্যামেজ হয়ে যাবে, সম্পূর্ণরূপে মানে ৯৫ শতাংশ কার্যক্ষমতা লোপ পাবে এবং সেটা মেডিকেল ট্রিটমেন্টে রোগীর কাভার হচ্ছে না। কারণ, কিডনি আমাদের শরীরে ছাঁকনির কাজ করে, হরমোন তৈরি করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, এসিড ব্যালেন্স করে। মেইন কাজ এগুলো। এই টক্সিক জিনিসগুলো শরীরে জমে গিয়ে অনেক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম বলেন, প্রতিস্থাপনের বিষয়টা আসে সম্পূর্ণ ড্যামেজ হয়ে গেলে। তখন এটার থেকে বেঁচে থাকার জন্য দুইটা অপশন থাকে। একটা হলো ডায়ালাইসিস, আরেকটা হলো প্রতিস্থাপন। তাহলে আমরা কেন প্রতিস্থাপনকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। কিডনি ফর কিডনি। কারণ, ডায়ালাইসিস করলে শুধু তার ছাঁকনির কাজ হয়, অন্য কাজ হয় না। আর প্রতিস্থাপন হলো পুরো একটা কিডনি একজন সুস্থ মানুষের দেহে যে কাজ করে, যার শরীরে প্রতিস্থাপন হয়, তারও একই কাজ করে। এই প্রতিস্থাপন আমরা কিডনির ৯৫ শতাংশ ড্যামেজ হয়ে গেলে করি। ৯৫ শতাংশ ড্যামেজ আমরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে দেখি। তখন আমরা নির্ধারণ করি। তারপর ফ্যামিলির, রোগীরও ইচ্ছে থাকতে হবে যে আমি কিডনিটা প্রতিস্থাপন করতে চাই। তার আগে কাউন্সেলিংয়ের ব্যাপার আছে, কে ডোনার হতে পারবে, কে দিতে পারবে, কাকে দেওয়া যাবে ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।