কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে উপকারী ৩ খাবার

Looks like you've blocked notifications!

কোলেস্টেরল কোষের দেয়ালে থাকে। এটি এক ধরনের চর্বি। এটি দেখতে অনেকটা মোমের মতো। চর্বিজাতীয় খাবার খেলে আমাদের লিভারে এই কোলেস্টেরল তৈরি হয় এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে রক্তনালিতে ছড়িয়ে পড়ে।

বেশি চর্বি জাতীয় খাবার খেলে এই বাড়তি কোলেস্টেরল ধমনির দেয়ালে জমাট বেঁধে প্লাক তৈরি করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। এতে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃৎপিণ্ডের নানা সমস্যা হয়। টোটাল কোলেস্টেরল, লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল, হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এইচডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড হলো চার ধরনের কোলেস্টেরল। এদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হলো এলডিএল।

কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমাতে উপকারী খাবারের নাম জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন।

  • বাদাম

কোলেস্টেরল কমাতে বাদাম উপকারী। বিশেষ করে কাঠবাদাম ও ওয়ালনাট। বাদাম পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাবার। ওয়ালনাটের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড। এটি এক ধরনের পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি। কাঠবাদাম ও অন্যান্য বাদামে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড।

প্রায় ২৫টির বেশি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিনটি বাদাম খাওয়া এলডিএল কমাতে উপকারী। বাদাম খাওয়া ২৮ ভাগ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

  • চর্বিযুক্ত মাছ

চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন, স্যামন ও ম্যাকরেল ইত্যাদি লং-চেইন ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিডের উৎস। ওমেগা-থ্রি হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর ২৫ বছর ধরে করা একটি গবেষণায় বলা হয়, চর্বিযুক্ত মাছ শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে।

  • রসুন

রসুন অনেক সময় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালাইসিন নামের উপাদান। গবেষণায় বলা হয়, রসুন রক্তচাপ কমায় এবং এলডিএল, অর্থাৎ বাজে কোলেস্টেরল কমায়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় রসুন রাখুন।