কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যা খাবেন

Looks like you've blocked notifications!

কোলেস্টেরলকে নীরব ঘাতক বলা হয়। শীর্ণদেহী মানুষের কোলেস্টেরল বেশি হয়। আবার অধিক ওজনের কারণেও কোলেস্টেরল হয়।

এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে কোলেস্টেরল কেন বাড়ে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে কী খাবার খেতে হবে, তার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা।

কোলেস্টেরল কী

কোলেস্টেরল এক প্রকারের চর্বি। এটি কয়েক ধরনের হয়ে থাকে—ট্রাইগ্লিসারাইডস, এলডিএল, এইচডিএল এবং টোটাল কোলেস্টেরল। এর মধ্যে এইচডিএল হলো উপকারী এবং এলডিএল হলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

কীভাবে বুঝব কোলেস্টেরল হয়েছে

পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, বুকে ব্যথা হওয়া, বমি বমি ভাব, চরম ক্লান্তি, নিশ্বাসে দুর্বলতা এবং ঘাড়, চোয়াল, তলপেট বা পিঠে ব্যথা ও উচ্চরক্তচাপ। এসব হলে আমরা বুঝতে পারব, আমাদের কোলেস্টেরল বা খারাপ রক্তের কোলেস্টেরলটা বেড়ে গেছে। কারণ, বয়সের সাথে সাথে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অ্যালকোহল সেবন করলে হয়, ধূমপান করলে হয়, ভুল ডায়েট বা খাবারের অসামঞ্জস্য থেকেও হয়। পুরুষের কোলেস্টেরল বেশি থাকে। শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাবে কোলেস্টেরল হয়। ওজন বেশি হলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।

যা খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমবে

পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, টমেটোকে সুপার ফুড বলা হয়। এর রয়েছে অনেক গুণ। এতে ভিটামিন এ ও সি-সহ রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিনো থাকে। এ মিশ্রণ উচ্চ এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে থাকে। এরপর আপেলের প্রসঙ্গে আসি। বলা হয়ে থাকে, দিনে একটি আপেল খেলে আপনার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে দূরে রাখতে পারেন। ঘন ঘন আপেল গ্রহণ করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়।

ফ্ল্যাক্স সিড ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে পূর্ণ, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। আমেরিকা হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সুপারিশ করেছে, ফ্ল্যাক্স সিডে ফাইটোকোলেস্টেরল থাকে, যা দেহে এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে। এমন সুপার ফুডকে একদম এড়িয়ে যাবেন না।

বেগুন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রেস কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ২০১৭ সালে এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ যে স্ট্রেস থাকে, সেটা বেগুন হ্রাস করে। উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে বেগুন সহায়ক। এ ছাড়া কলা কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সাহায্য করে। এটা আপনার মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত যে কোলেস্টেরল শরীরে জমে, সেটা জমতে পারে না। তবে টক-মিষ্টি কলা গ্রহণ করতে হবে।