ক্লান্তিহীন রোজা রাখতে সেহরিতে যা খাবেন, যা খাবেন না

Looks like you've blocked notifications!

রোজায় সেহরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ সময় খাবারের ওপর নির্ভর করবে আপনার সারা দিনের রোজা। সেহরিতে কী খাওয়া জরুরি আর কী খাবেন না, তা আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব।

এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ আজমেরী রহমান সিনথিয়া। তিনি বলেন, এ সময় আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি, এনার্জি পাওয়া যায়, মানে শক্তি প্রদান করে, এমন খাবার গ্রহণ করতে। এ ক্ষেত্রে আঁশবহুল, কার্বোহাইড্রেট খুবই উপকারী। আমরা এ সময় সিম্পল কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকি। কারণ, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। ধীরে ধীরে শক্তি জোগান দেয়, এমন খাবার আমাদের দীর্ঘক্ষণের ক্লান্তি মেটাতে সক্ষম। তাই খেজুর, ওটস, বাদামি চালের ভাত ইত্যাদি খাবার আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে সক্ষম।

পুষ্টিবিদ আজমেরী রহমান বলেন, সেহরিতে আমরা ভাত, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সবই গ্রহণ করতে পারব। তবে একই আইটেমে মাছ ও মাংস গ্রহণ করা যাবে না। এতে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা যাবে না। এতে পিপাসা বাড়বে। তাজা ফল গ্রহণ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে যে ফলের মধ্যে পানি বহন করে বেশি, সেই ফলগুলো আমাদের সারা দিনের ক্লান্তি মেটাতে এবং ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে রাখতে পারবে। সে রকম ফলের মধ্যে তরমুজ, পেঁপে ইত্যাদি রয়েছে।

এ পুষ্টিবিদের পরামর্শ, সেহরিতে চা-কফি ইত্যাদি গ্রহণ করবেন না। এ খাবার পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন আপনাদের করে ফেলতে পারে। সেহরিতে কেউ দুধ খেতে চাইলে খেতে পারবেন, তবে ভারী খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পর। যাঁদের ল্যাকটোজেন ইনটলারেন্স আছে, তাঁরা লো ফ্যাট মিল্ক গ্রহণ করবেন। স্যুপ, ডিম সেদ্ধ একপ্রকার আদর্শ খাবার রমজানের জন্য। সেহরিতে আপনি সেটা গ্রহণ করতে পারবেন এবং অবশ্যই প্রচুর শাকসবজি গ্রহণ করবেন, যাতে করে আমাদের শরীরে নিজে নিজে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে কোভিড১৯-এর বিপক্ষে।

অনেকে মনে করে, সেহরিতে প্রচুর খাবার খেতে হবে, যেহেতু পরের দিন ১৫ ঘণ্টার মতো রোজা রাখতে হবে, তাহলে এত শক্তি এত পানি কোথায় পাব? এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কারণ, সেহরিতে প্রচুর খেলেই আপনার সারা দিনের রোজার ক্লান্তি মিটে যাবে, বিষয়টি ভুল। শুধু পরিমিত ও সুষম খাবারই পারে আপনার রোজাকে ক্লান্তিহীন করতে। সবশেষে গর্ভবতী, ডায়াবেটিক, কিডনি রোগী, হৃদরোগী ইত্যাদি বিশেষ রোগে যাঁরা আক্রান্ত, তাঁরা অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী রজমানে ডায়েট চার্টটি করে নেবেন।