গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন কেন?
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগের কারণে সারা বছরই অনেকের ত্বক শুষ্ক থাকে। ত্বকের শুষ্কতা রোধে গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬০৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জেসমিন মনজুর। বর্তমানে তিনি অ্যাপোলো হসপিটালে ডার্মাটোলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ত্বকের শুষ্কতা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : সাবানে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। আমরা শীতকালে সাবানকে এড়িয়ে যেতে বলব। সাবানের মধ্যে নন-সোপ ক্লিনজারগুলো ব্যবহার করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো, অনেকে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করে। এতে কিন্তু ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়।
শীতকালে অনেকে গরম পানি দিয়ে গোসল করে। তবে খুব গরম পানি দিয়ে যেন গোসল না করে। হালকা গরম পানি এ ক্ষেত্রে ভালো। আবার অনেকে অনেক ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে। তাদেরও ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। এগুলো বন্ধ করতে হবে।
আবার অনেকে বারবার গোসল করে। অনেকে দুই থেকে তিনবার গোসল করে। তাদেরও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। একবার গোসলই যথেষ্ট। যারা ময়লার মধ্যে কাজ করে বা খুব বেশি ঘামে, তারা হয়তো আরেকবার গোসল করতে পারে। তবে সব সময় আমি যেটি বলি নন-সোপ ক্লিনজারগুলো ব্যবহার করা এবং গোসলের পর পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
লোশন আর পেট্রোলিয়াম জেলির কাজ কী? ত্বকের যে পানিটা রয়েছে, এটি যেন শুকিয়ে না যায়। তাই ত্বকে পানি থাকতে থাকতেই লোশন ও পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। অনেকে গোসল করে বের হয়ে চামড়া যখন শুকিয়ে যায়, তখন পেট্রোলিয়াম জেলি লাগায়। তবে সেই সময় লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি কাজ করে না।
শীতকাল এসেছে। গোসলের পরপরই শরীরটা মুছে লোশন লাগাবেন। শীতকালে ত্বক যেহেতু অনেক শুষ্ক হয়ে যায়, গোসলের পরপর তো সারা শরীরে লোশন অবশ্যই লাগাবেন, অন্য সময়ও যদি একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে লোশন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান, তাহলে শুষ্কতা একদমই থাকবে না। শুষ্ক ত্বকের জন্য যে সমস্যাগুলো হয়, সেগুলো থাকবে না।