জামের বহু গুণ, প্রতিরোধ করে মুখের ক্যানসার

Looks like you've blocked notifications!

জাম গ্রীষ্মকালীন ফল। এখন গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা জাম। পাকা জামের দেখাও মিলছে, কিন্তু কম। জাম আমাদের প্রায় সবারই প্রিয় ফল। জামে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জামের পুষ্টিগুণাগুণ সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে জামের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা। তিনি বলেন, জাম পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। জামে রয়েছে পর্যাপ্ত শর্করা, ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রতিদিন একমুঠো জাম যদি আমরা খাই, তা থেকে আমরা আমাদের শরীরের চাহিদামতো শর্করা পেতে পারি এবং এর পরিমাণ হলো ১৫ মিলিগ্রাম। এতে ভিটামিন সি আছে প্রচুর, পটাশিয়াম আছে ৭৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম আছে ১৫ মিলিগ্রাম এবং পর্যাপ্ত ফসফরাস রয়েছে।

পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, জাম বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। আমাদের দেশে কালোজাম নামেই সবাই চেনে। সাধারণত জুন-জুলাইয়ে জামের আবির্ভাব ঘটে। সবাইকে বলব, যখনই এ ফলটি পাওয়া যায়, তখন এটিকে অবশ্যই খাওয়ার জন্য। কারণ, এর মাইক্রো ও ম্যাক্রো মিনারেলস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সিজনে আমাদের সাধারণত জ্বর ও সর্দি-কাশি হয়ে থাকে এবং জাম সেই রোগগুলোকে প্রতিরোধ করে। এটি মুখের ত্বকের জন্য উপকারী এবং ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে মুখের ক্যানসার। যাদের রুচি কম থাকে, তাদের আমরা জাম খেতে বলে থাকি। কারণ, জামের ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি পর্যাপ্ত রুচি এনে দেয়। আর জামে রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, জামের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।

এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, ক্যানসার ও হৃদরোগের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্যও রয়েছে সুখবর। জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও যথেষ্ট হেল্পফুল। এর ডায়েটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য যেমন দূর করে, ডায়াবেটিসের সুগারটাকে লোয়ার রাখতে সহায়তা করে। এ জন্য আমরা চাই যে সিজনে যখনই এটি পাওয়া যাবে, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যেন যথেষ্ট পরিমাণে জাম থাকে এবং প্রতিদিনের পুষ্টিচাহিদা আমরা জাম থেকে পূরণ করতে পারি।