ডেঙ্গু রোগে গর্ভবতী নারীর ঝুঁকি কেমন?

Looks like you've blocked notifications!

বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যে আমরা জীবন যাপন করছি। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যু। এর সঙ্গে বাংলাদেশে আরেকটি রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এখন, সেটি হচ্ছে ডেঙ্গু। এ সময়ে যাঁরা গর্ভবতী, তাঁদের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কেমন?

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডা. বেনজীর হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।

ডা. বেনজীর হক বলেন, আসলে আমরা তো একটা প্যান্ডামিক সিচুয়েশন ক্রস করছি—কোভিড-১৯। এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে যে আবার নতুন করে ডেঙ্গু। শুধু যে এ বছর, তা কিন্তু নয়। প্রতি বছরই এ সময়টাতে দেখা যায় যে বৃষ্টি হচ্ছে এবং আমরা ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি। আমরা জানি, ডেঙ্গু ভাইরাসটা ক্যারি করছে এডিস মশা। এ সময়ে এডিস মশা প্রচুর পরিমাণে বংশবিস্তার করে, যেহেতু তারা বদ্ধ পানিটা পেয়ে যায়। আমাদের অনেকেরই বাসায় হয়তো বদ্ধ পানি থাকে। এ ছাড়া বৃষ্টি হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় পানি জমছে। সেখানে তারা বংশবিস্তার করে। তো, ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী এডিস মশা যখন একজন মানুষকে কামড় দেয়, তখন ডেঙ্গু রোগটি হয়। ডেঙ্গু হলো ভাইরাস জ্বর। গর্ভাবস্থায় কী হচ্ছে, আমাদের বডির যে ইমিউন সিস্টেম, সেটা কিন্তু একদম কমে যাচ্ছে। আমাদের যে ডিফেন্স ম্যাকানিজম, ইমিউন বা ডিফেন্স ম্যাকানিজম মানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমন কিছু উপাদান আমাদের শরীরে আছে, যা কিনা ডিফেন্স করে বডিকে—সব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য ক্ষতিকর জিনিসগুলো থেকে। তো প্রেগন্যান্সিতে কিছুটা হলেও এ জিনিসগুলো কমে যায়। প্লাস যারা বৃদ্ধ, প্লাস যারা শিশু, তাদের ইমিউনিটি কম। এ সময়ে দেখা যায় যে অন্য সময় যে ডেঙ্গুর সাইড ইফেক্ট, এ সময় সেটা বেশি। ইউজুয়ালি ডেঙ্গু হলে যেটা হয়, চার থেকে পাঁচ দিন প্রচণ্ড রকমের জ্বর থাকে। জ্বরটা প্রেগন্যান্সিতে খারাপ, যে কোনও জ্বরই হোক। জ্বর তো কোনও ডিজিজ নয়, জ্বর হচ্ছে একটা উপসর্গ। যে কোনও জ্বরেই আমাদের শরীরের রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়ে যায়। প্রসারিত হলে কী হবে, মায়ের কাছ থেকে বাচ্চার শরীরে যে ব্লাড যাওয়াটা, সেটা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা জানি, রক্তের মাধ্যমে সমস্ত উপাদান মা থেকে বাচ্চার কাছে যাচ্ছে। যেহেতু ফ্লো-টাই কমে যাচ্ছে, তার মানে বাচ্চার শরীরে সবকিছু কম যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বাচ্চাটা অ্যাফেক্টেড হতে পারে। আর ওই যে বললাম ইমিউনিটি কম, যে কারণে জ্বরে নরমাল পেশেন্ট যতটা না দুর্বল হবে, গর্ভবতী মা অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যাবে।

এ সময়ে জ্বর হচ্ছে। ডেঙ্গু হলেও জ্বর হয়, কোডিভ হলেও জ্বর হয়। কীভাবে এ দুই জ্বরের পার্থক্য বোঝা যাবে? এমন নানান প্রশ্নের উত্তর জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।