নারীর বন্ধ্যত্বের মূল কারণগুলো কী কী
অনেকেই বন্ধ্যত্ব ও চর্মরোগের নানান সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা এই দুই রোগ কেন হয় এবং প্রতিকারই বা কী, সে সম্পর্কে দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন ডাক্তার আছেন আপনার পাশে-র একটি পর্বে বন্ধ্যত্ব ও চর্মরোগ নিয়ে কথা বলেছেন বিআরবি হসপিটালের গাইনি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা এবং ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. রাশিদুল হাসান।
নারীর জন্য মাতৃত্ব আশীর্বাদস্বরূপ। কিন্তু যখন দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে কনসিভ করতে পারছে না, তখন দেখা যায় মানসিক-সামাজিক-পারিবারিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। কখন বলা হবে সে বন্ধ্যত্বজনিত সমস্যায় ভুগছে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা বলেন, কোনও দম্পতি এক বছর বা তার বেশি কোনও প্রটেকশন ছাড়া একসঙ্গে থাকার পরেও যদি প্রেগন্যান্সি না হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের বন্ধ্যত্ব দম্পতি বলি।
মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও বন্ধ্যত্ব দেখা যাচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি বলা যায় কারণটা কী, তারপর আমরা জানব ছেলেদের ক্ষেত্রে কেন বন্ধ্যত্ব হয়ে থাকে। সঞ্চালকের এ কথার পর অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা বলেন, পরিসংখ্যান হিসেবে এখন আমরা যেটা দেখছি, মোটামুটি ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে সমান হয়ে গেছে। ৪০ শতাংশ যদি ফিমেল দায়ী থাকে, তাহলে মেলও এখন ৪০ শতাংশ দায়ী বন্ধ্যত্বের জন্য। ছেলেমেয়ে দুজনেরই কারণ আছে। ফিমেলদের কারণটা যদি গ্রসলি বলি, তাহলে প্রথমত বলা যায় ওভারির কারণে হয়। এই ওভারিয়ান কারণ হচ্ছে তার ওভুলেশন হয় না।
ডা. কামরুন নেসা আরও বলেন, ওভুলেশন বা এনোভুলেশন অনেক কারণে হতে পারে। যেমন কারও পিসিওএস থাকে, কারও থাইরয়েডের প্রবলেম থাকে, ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি থাকে অথবা কারও যদি জেনেটিক প্রবলেম থাকে বা ওভারিই জন্মগতভাবে ছোট থাকে বা কোনও ক্রোমোজমাল ডিজিজ থাকে—এসব কারণে দেখা যাচ্ছে তার ওভুলেশন হচ্ছে না। নিয়মিত ওভুলেশন না হওয়ার কারণে ইনফার্টিলিটি হয়। এ ছাড়া যদি তার টিউবে কোনও ডিফেক্ট থাকে; জন্মগত বা পরবর্তীতে যদি টিউবে ডিফেক্ট থাকে, যেমন টিউবাল ব্লক থাকতে পারে অথবা টিউবাল অ্যাবনরমালিটি থাকতে পারে।
বন্ধ্যত্ব ও চর্মরোগ সমস্যা এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।