পাকস্থলীর ক্যানসার, কীভাবে বুঝবেন?

Looks like you've blocked notifications!
পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ প্রাথমিক অবস্থায় তেমন বোঝা যায় না। ছবি : সংগৃহীত

ধূমপান, অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়া, ধূমায়িত খাবার খাওয়া, বংশগতি ইত্যাদি কারণে পাকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে।

পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ কী, এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. খোন্দকার গোলাম মোস্তাকীম। বর্তমানে তিনি বিআরবি হসপিটালে মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬১১তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণগুলো কী? কীভাবে একজন ব্যক্তি বুঝবে সে পাকস্থলীর ক্যানসারে দিকে যাচ্ছে?

উত্তর : পাকস্থলীর ক্যানসার সাধারণত দেরিতে বোঝা যায়। এর কারণ হলো, প্রথমে যে রোগীগুলো আমাদের কাছে আসে, তাদের খুব নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে না। ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়। দেখা যায়, রোগী এসে হয়তো বলল, আমার হজমে সমস্যা হয়, পেটের ভেতরে ব্যথা করে। প্রথম দিকে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না। যখন ক্যানসারটা বেড়ে যায়, তখন কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে।

প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা। বুকের কাছে ব্যথা হয়। অন্যান্য ব্যথার ক্ষেত্রে অ্যান্টাসিড খেলে হয়তো চলে যায়। এ ধরনের রোগী এসে বলে, ‘আমি ওষুধ খাচ্ছি, তবে ব্যথাটা যাচ্ছে না।’ আবার পাকস্থলীর ওপরের দিকে যদি ক্যানসার হয়, খাবার সে খাবে, তবে খাবারটা পাকস্থলীতে যেতে পারবে না। রাস্তাটা বন্ধ করে দিচ্ছে। তখন বলে যে আমার গলার দিকে কিছু আটকে থাকে। ঘন ঘন পানি পান করতে হয়। অথবা যখন সে ঘুমানোর জন্য শোয়, মনে হয় খাবারটা ওপরের দিকে চলে আসছে।

তার বমি হতে পারে। ক্যানসার যখন পাকস্থলীর নিচের দিকে হয়, রাস্তাটা যখন বন্ধ হয়ে যায়, আমরা যে খাবারগুলো খাই, সেগুলো নিচের দিকে যেতে পারে না। এর জন্য তার বমি হয়ে যায়। তার ওজন কমতে থাকে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে যখন ক্যানসার পেটের ভেতর হয়, তখন আলসার হয়। এটি হলে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তখন বমির মাধ্যমে বের হতে পারে বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে। এসে রোগী হয়তো বলল, কালো পায়খানা হচ্ছে। এগুলো প্রধান লক্ষণ। এ ছাড়া আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে। শরীরে অনেক সময় লালচে লালচে দাগ হয়ে যায়।

আর ক্যানসার যদি পাকস্থলী থেকে ছড়িয়ে বের হয়ে যায়, অন্যান্য অঙ্গে চলে যেতে পারে। লিভারে গেলে সেখানে কিছু লক্ষণ দেখা দেবে। যদি ফুসফুসে যায়, সেখানে এসে সে বলবে, আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। যদি মাথায় যায়, সেখানে একটি লক্ষণ হবে। হাড়ে গেলে এর ব্যথা নিয়ে আসবে। লিম্ফনোডেও ছড়িয়ে যেতে পারে।