পুষ্টিগুণে ভরা মাশরুম খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন?

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্বে নিরামিষভোজীদের কাছে মাশরুম এখন মাংস হিসেবে বিবেচিত। আমাদের শরীরে প্রতিদিন যে পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন, মাশরুমে তার প্রত্যেকটি বিদ্যমান। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে মাশরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে মাশরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান। তিনি বলেন, উদ্ভিজ প্রোটিনের মধ্যে মাশরুম অন্যতম। যাঁরা ভেগান বা অ্যানিমেল প্রোটিন খেতে চান না, বা কোনো কারণে তাঁদের প্রবলেম হয়, তাঁরা অনায়াসে প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য মাশরুম খেতে পারেন। মাশরুম অনেক ভাবে খাওয়া যায়। রান্না করেও খেতে পারেন বা কাঁচাও খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে মাশরুমের অনেক প্রজাতি আছে। সব ধরনের মাশরুম মানবশরীরের জন্য উপযুক্ত নয়। সুতরাং যেটি উপযুক্ত, সেটি বাছাই করে নিয়ে খেতে হবে।

পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান বলেন, মাশরুমে নায়াসিন আছে, মানে ভিটামিন ডি, যা আমাদের শরীরে হজমপ্রক্রিয়াকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের বাউয়েল মুভমেন্টকে সহায়তা করে। এ ছাড়া এতে প্রচুর হাই-ফাইবার আছে, যেগুলো আমাদের ওজন কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও হজমপ্রক্রিয়ার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আমাদের ভালো কোলেস্টেরল যেটা আছে, সেটা বজায় রেখে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও মাশরুম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আরও খেয়াল রাখতে হবে যে কী পরিমাণ মাশরুম আমরা খেতে পারি। কারণ, যে খাবারটি ভালো সেটি বেশি পরিমাণে খেলেও শরীরের ক্ষতি হয়। সুতরাং পরিমাণমতো খেতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন চাইলে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম মাশরুম আমরা খেতেই পারি। তবে এর বেশি নয়। আর কোন সময় খাবেন? সব সময় বলা হয়, সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত হাই-ফাইবার খাবারগুলো খেতে পারেন। আর সন্ধ্যার পর যদি হাই-ফাইবার বা মাশরুমজাতীয় খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। যাদের অলরেডি গ্যাসের সমস্যা আছে, তাদের পেট ফোলা বা পেট ফাঁপা, এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। এটা খাবারের সমস্যা নয়, এটা সময়ের সমস্যা। সুতরাং ভালো খাবার যদি সময়মতো সঠিক উপায়ে খাই, অবশ্যই আমরা ভালো থাকব এবং সুস্থ থাকব। বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি ক্লিক করুন।