ব্যাক পেইনের ৭ কারণ

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা করেও ব্যাক পেইনের সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এর অন্যতম কারণ, ব্যক্তিবিশেষে রোগের ধরন ভিন্ন হয়। একজনের তীব্র ব্যথা অনুভূত হলেও অপরজনের কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। ব্যাক পেইন শুনলেই অনেকে ঘাবড়ে যায়। আসলে ব্যাক পেইন প্রাণঘাতী বা গুরুতর কিছু নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক কিছু রোগের সংকেত দিতে পারে। এখানে অনেক স্বাভাবিক কারণও থাকতে পারে। এর মধ্য থেকে ব্যাক পেইনের মূল সাতটি কারণ নিয়ে আলোচনা করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথগ্রেডস ডটকম।

কঠোর পরিশ্রমের ফলে হতে পারে

প্রথম প্রথম কাজের চাপে বা কঠোর পরিশ্রমের ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। ভারী বস্তু উত্তোলন, পিঠে টান খাওয়া বা মোচড় লাগা থেকেও ব্যাক পেইন হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত একটু বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যায়। হালকা শরীরচর্চাও বেশ সহায়ক।

ডিস্ক ইনজুরি বা অবক্ষয়

আপনার বয়স হিসেবে, সোজা বা গোলাকার ডিস্কগুলো; যা প্রতিটি কশেরুকার মধ্যে ফিট থাকে—তারা কুশনিং ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে একটি ব্যাকবোন অন্যটির বিরুদ্ধে ঘর্ষণ তৈরি করে, তখন ব্যাক পেইন হতে পারে। চিকিৎসকেরা এটিকে অবক্ষয়যুক্ত ডিস্ক রোগ বলে। কখনো কখনো ডিস্কের বাইরের আবরণ থেকে জেলির মতো কিছু বেরিয়ে আসে, এটিকে হার্নিয়েটেড ডিস্ক বলে। বাইরের রিঙের সঙ্গে ফ্লুইডের চাপ সৃষ্টি হয়েও ব্যাক পেইন তৈরি হয়।

প্রান্তিককরণ সমস্যা

মেরুদণ্ডে একটি অস্বাভাবিক বক্ররেখা প্রায়ই শৈশব বা কৈশোরে বিকাশ লাভ করে। তবে যুবককাল বা তার পরবর্তী সময়ের জন্য এটি ব্যথার কারণ হয় না। যখন এটি মেরুদণ্ডের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ শুরু করে, তখন ব্যাক পেইন হতে পারে। এর ফলে আপনার পেছনের হাড়গুলো যথাযথ অবস্থান থেকে সরে যেতে পারে এবং একে অপরের অংশ পর্যন্ত প্রসারিত না হওয়া অবধি সরে যেতে পারে। প্রান্তিককরণের সমস্যা শুধু পেছন থেকে শুরু হয়, এমন নয়। এটি আপনার পা বা গোড়ালি থেকেও শুরু হতে পারে।

ফ্র্যাকচার

পড়ে যাওয়া বা অন্য যেকোনো দুর্ঘটনার সময় আপনি কশেরুকা ভেঙে ফেলতে পারেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাড়ক্ষয় রোগ অস্টিওপরোসিসের ফলস্বরূপ ফ্র্যাকচারগুলো বিকাশ লাভ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার কশেরুকা বিচূর্ণ হয়ে যেতে পারে, চলাফেরা করার সময় বা হাড়ের স্নায়ু সংকোচনের সময় মাঝারি থেকে তীব্র ব্যাক পেইন হতে পারে।

ইনফেকশন ও টিউমার

বিরল, তবে মারাত্মক সংক্রমণের ফলে কশেরুকায় আঘাত হানতে পারে, এটি অস্টিওমাইলিটিস নামে পরিচিত। হাড়ের মধ্যে ফুলে যাওয়ার ফলে ব্যথা তৈরি হতে পারে। টিউমারের কারণে ব্যথা হতে পারে। যদি কারো ক্যানসারের অভিজ্ঞতা থাকে এবং ব্যাক পেইন হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অন্যান্য স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যা

ব্যাক পেইনের জন্য শুধু পেছনের পেশি বা জয়েন্টগুলোর সমস্যাই দায়ী নয়, অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অন্য অঙ্গগুলোর সমস্যাও প্রভাবিত করে।  এর মধ্যে কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণ, অগ্ন্যাশয় অন্তর্ভুক্ত। গর্ভবতী নারীরও ঘন ঘন ব্যাক পেইন দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকেও ব্যাক পেইন দেখা দেয়।

মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস

মেরুদণ্ডে নতুন হাড় বৃদ্ধি পেলে ব্যাক পেইন হতে পারে। এই হাড়ের বৃদ্ধি মেরুদণ্ডের স্নায়ুগুলোকে চাপে ফেলতে পারে, ফলে ব্যাক পেইন দেখা দিতে পারে। প্রায়ই এ অবস্থার কারণে চলার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।