যে ৫ খাবার দূর করবে ইনসোমনিয়া

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- ফ্রিপিক

অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়া আমাদের শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতার মতো ব্যাধি দেখা দেয়। ‘ইট ইওর কেক, লুস ইওর ওয়েট’ এর লেখক হোলিস্টিক হেলথ প্রশিক্ষক আজহার আলী সাঈদ টাইমস অব ইন্ডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ঘুম। শরীরের বিশ্রাম, মেরামত এবং পুনর্নির্মাণের জন্য সময় প্রয়োজন। এই কারণেই একটি ভাল রাতের ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ইমিউন সিস্টেম এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের কর্মক্ষমতা ঘুমের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তাই প্রতি রাতে ৭ থেকে ৩ ঘন্টা ঘুমান দরকার। এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় নজর দেওয়া দরকার। এগুলোতে ঘুম-প্ররোচিত করার গুণাবলী রয়েছে।"

ক্যামোমাইল টি

এক গবেষণায় থেকে জানা গিয়েছে যে, ক্যামোমাইল চা খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমায়। যা ঘুমের ব্যাঘাতের প্রধান দুইটি কারণ। এই চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এপিজেনিন পেশী শিথিলতা রাখে। অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের রিসেপ্টরকে সংযুক্ত করে। যা ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। অনিদ্রা দূর করে।

কলা

কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এ ছাড়া এতে ট্রিপটোফান রয়েছে। এই ম্যাগনেসিয়াম এবং ট্রিপটোফান ঘুমের জন্য উপকারী। তাই খাদ্যতালিকায় কলা যোগ করুন। অন্যান্য উপকারিতার পাশাপাশি এটি অনিদ্রা কাটিয়ে দিবে।

আখরোট

আখরোট এএলএ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি সেরোটোনিন সংশ্লেষণে সাহায্য করে।  যা কিনা ঘুম বাড়ানোর রাসায়নিক হিসেবে পরিচিত।

চর্বিহীন প্রোটিন

মুরগি, টার্কি, মাছ এবং ডিম চর্বিহীন প্রোটিনের উৎস। এগুলোতে ট্রিপটোফ্যান রয়েছে। এ ছাড়া এসব খাবারে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়। যা কিনা ঘুমের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

দুধ

ঘুমানোর আগে গরম দুধ অনেকেই খেয়ে থাকে। ভাল ঘুমের জন্য এটি আসলেই কার্যকর। দুধে কেসিন ট্রিপটিক হাইড্রোলাইজেট (CTH) নামক ট্রিপটোফ্যান এবং মিল্ক পেপটাইড থাকে। যা মানসিক চাপ কমায়। ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া