শিশুদের অ্যাজমা কেন হয়

Looks like you've blocked notifications!

অনেক শিশুই অ্যালার্জি ও অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছে, কষ্ট পাচ্ছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেব শিশুদের অ্যাজমা কেন হয়।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুদের অ্যাজমা ও এর প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান কামরুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।

আমরা সাধারণত জানি, অ্যাজমা একটি শ্বাসতন্ত্রের রোগ। অ্যাজমা শব্দটি শুনলেই আমরা মনে করি, এটি এডাল্ট ডিজিজ বা বড়দের রোগ। অ্যাজমা শব্দটি আমরা চাইল্ডদের সাথে খুব একটা রিলেটেড দেখতে পাই না। আমরা নিউমোনিয়াটা খুব বেশি শুনে থাকি। অ্যাজমা কি বাচ্চাদের হয়, হলেও কীভাবে হয়, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, প্রথমেই যেটা বলছিলেন, অ্যাজমা বলতে মানুষ মনে করে এটা বড়দের অসুখ, ছোটদের কেন অ্যাজমা হবে। না, ছোটদেরও অ্যাজমা হয়। ছোটদের অ্যাজমা সাধারণত কিছু কারণে হতে পারে।

ডা. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, প্রথমত হলো বাবা-মায়ের যদি অ্যাজমা থাকে, পরিবারের কারও যদি অ্যাজমা থাকে, তাহলে শিশুর অ্যাজমা হতে পারে। একটা জিনিস লক্ষ্যণীয় যে লো বার্থ ওয়েট বেবি হয়েছিল, বাচ্চার প্রথম ছয় মাস বারবার আমরা বাবা-মাকে বলি, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াবেন। ছয় মাস এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং। এখানে অন্য কিছু খাবে না। তাহলে এই যে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাটা, অ্যাজমাটিক প্রবলেমগুলো পরবর্তীতে হবে না। আরেকটা বিষয় হলো, কারও যদি রিপিটেডলি রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ও ইনফেকশন হয়; বিশেষ করে ছোট বয়সে ব্রঙ্কোলাইটিস রোগ থাকে। বলে রাখা ভালো, প্রথম দিকে জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি থাকবে। বাচ্চা প্লেফুল আছে, হাসিখুশি আছে, বাচ্চার কোনও সমস্যা হচ্ছে না, বাচ্চার নাক দিয়ে পানি পড়ছে, অল্পতে ঠাণ্ডা-কাশি হয়, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, দুই-চার দিন শ্বাসকষ্ট হওয়ার পর নরমাল হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা ভালো হয়ে যায়।

ডা. কামরুজ্জামান কামরুল আরও বলেন, আমরা অভিভাবকদের পরামর্শ দিই, বাচ্চার যদি ওই প্রবলেমগুলো থাকে, তাকে বারবার বুকের দুধ খাওয়াবেন। ১৮ মাস পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। ১৮ মাস পরে যদি বাচ্চার ওই প্রবলেমগুলো থাকে, ফ্যামিলিতে যদি কারও অ্যাজমার হিস্ট্রি থাকে, তাহলে বাচ্চার অ্যাজমা হতে পারে। বাবা-মায়ের যদি অ্যাজমা থাকে, তাহলে সন্তানের পাঁচ গুণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যদি বাবা-মায়ের অ্যাজমা না থাকে, তাহলে অ্যাজমা হবে না এমন কোনও কথা নেই। হতে পারে। তবে বাবা-মা, ফ্যামিলিতে, দাদা-দাদির যদি অ্যাজমা থাকে, তাহলে সন্তানাদির ভেতরে অ্যাজমার প্রবণতা হতে পারে।