শিশুদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে?

Looks like you've blocked notifications!

করোনা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে একধরনের তাণ্ডব চালাল এবং এখনও এর প্রভাব অনেক বেশি। এর সঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করছে পাশের দেশে। যেহেতু ভারত পাশের দেশ, তাই আমাদের জন্যও ভয়ের পরিমাণটা বেশি। করোনার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আমাদের দেশেও এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘ডাক্তার আছেন আপনার পাশে’-এর একটি পর্বে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।

ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে করোনা-পরবর্তী কমপ্লিকেশন হিসেবে। করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যেমন স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয় দীর্ঘ সময় ধরে, অনেক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, যেগুলোর প্রভাবে আসলে শরীরের ইমিউন সিস্টেমটা নষ্ট হয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সুযোগেই কিন্তু এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপটা বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক যে প্রকাশটা করোনার, এটা কিছুটা কম; আমাদের এত দিনের অভিজ্ঞতায় আমরা যেটা দেখতে পেলাম। তো ওদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহার করা আমাদের দিক থেকে হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে ওরা হয়তো অনেকটা কম... একেবারে সেফ জোন বলা যাবে না, কারণ, অনেকেই তো বলেছেন, আরও কিছু রোগী যেমন ক্যানসার বা যাদের হার্টের সমস্যা আছে, কিডনির সমস্যা আছে, সেই বাচ্চাগুলোর ক্ষেত্রে করোনার প্রকোপটা বেশি হচ্ছে বা সিভিয়ারিটি বাড়ছে। কাজেই হতে যে পারে না, সেটা না। তবে আমরা এখন পর্যন্ত শিশুদের মাঝে এর প্রকোপ দেখতে পাইনি। আর আশা করি, এ দিক থেকে হয়তো আমাদের শিশুরা রক্ষা পাবে।

শিশুদের ওপর করোনার প্রভাব ও নতুন স্ট্রেইনের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।