শিশুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয়

Looks like you've blocked notifications!

শরীরের মতোই মনের স্বাস্থ্য বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখতে হবে শিশু যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে শিশুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানব।

এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন টেক কেয়ার হসপিটালে মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড রিলেশনশিপ কাউন্সিলর এবং জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ফিজিওলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাদিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।

শিশুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, বাচ্চার আরও ভালো করতে গিয়ে মা-বাবা... হয়তো বাচ্চাটা ক্লাসে নবম ও দশম হয়, আমার বাচ্চাটাকে ফার্স্ট হতে হবে। সেজন্য কম্পেয়ার ও ক্রিটিসাইস, দুটো শব্দ বলছি আমি। কম্পেয়ার বা তুলনা করে অন্য বাচ্চাদের সাথে এবং ক্রিটিসাইজ বা সমালোচনা করে। এতে মানসিকভাবে বাচ্চাটা খুব বেশি ভেঙে পড়ে। তাকে ওর মতো হতে হবে, তাকে আরও ভালো করতে হবে। অনেক বাবা-মা মারধর করে। সেটা কিন্তু ফিজিক্যাল অ্যাবিউস হয়ে যাচ্ছে এবং তার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। দেখা যায়, যারা ক্রমিকভাবে এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বড় হয়, তারা একসময় ডিপ্রেশনের পেশেন্ট হয়। যখন পেশেন্ট হিসেবে আসে ডক্টরের কাছে, পাস্ট হিস্ট্রি নিলে দেখা যায় এবং বাচ্চারাও ইদানীং অ্যাংজাইটি ও ডিপ্রেশনে ভুগছে। বাবা-মায়ের অতিরিক্ত চাহিদা, তোমাকে ফাস্ট হতে হবে পড়ালেখায়। এসব প্রভাব পড়ে।

শিশুদের পড়াশোনা করাটাও জরুরি, সে ক্ষেত্রে বাবা-মা থেকে কিছুটা ইনফ্লুয়েন্সও প্রয়োজন। সেটি আসলে কীভাবে নিশ্চিত করবেন, না কি এটি চাপের পর্যায়ে পড়ে যাবে; এই যে মধ্যস্থতার জায়গা, সেটি কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, বাচ্চাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা কমাতে হবে। সবাই তো ফার্স্ট-সেকেন্ড হবে না। সে অন্য কোন বিষয়ে ভালো, সেটা আমাদের তুলে ধরতে হবে। যেমন সে খেলাধুলায় ভালো বা গানে হয়তো ভালো করছে। তবে হ্যাঁ, বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। সে যদি একেবারেই লেখাপড়া না করে, তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। মারধর করলে হয় কি, একটা সময় সেই মারের আর গুরুত্ব থাকে না। বাচ্চা মনে করে মারুক, আমি পড়ব না। বাচ্চারা যখন ডাক্তারের কাছে আসে, বাবা-মা অভিযোগ করে খুব জেদি, কথা শোনে না, ইরিটেটেড বাচ্চা, খুব রাগ। এ জাতীয় সমস্যাগুলো নিয়ে আসে। তখন বাচ্চার সাথে কথা বললে বোঝা যায়। আরেকটি জিনিস যেটা করা হয়, ছোট ভাইবোন বা বড়দের সাথে তুলনা করা হয়। এই কম্পেয়ার জিনিসটা বাচ্চারা নিতে পারে না।

শিশু নির্যাতন সম্পর্কে আরও জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।