শিশু ঠাণ্ডা-কাশিতে ভুগছে? দ্রুত সমাধান পেতে করণীয়
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। শীতে পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়, কমে মানবদেহের তাপমাত্রাও। এতে দেহের বায়োকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার বিঘ্ন ঘটে। শীতে শিশুরা ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যায় বেশি ভোগে।
শীতকালে বাতাসে অনেক জীবাণু ভেসে বেড়ায়, বিশেষ করে ভাইরাস বেশি থাকে। এগুলো শ্বাসনালির মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ঠাণ্ডা-কাশির মতো রোগের সৃষ্টি করে।
ঠাণ্ডা-কাশি থেকে বাঁচতে করণীয়
ঠাণ্ডা-কাশি অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। ঠাণ্ডা যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ মেনে চলা জরুরি।
• কিছুক্ষণ পর পর শিশুদের গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে দিতে হবে।
• ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শিশুদের তোয়ালে বা গৃহস্থালির দ্রব্যাদি ভাগ করবেন না।
• ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
• শিশুকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার নিয়ম মেনে চলতে শেখান।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
টানা সাত দিনের বেশি সর্দি-জ্বর থাকলে বা টানা তিন দিনের বেশি সর্দির সঙ্গে উচ্চমাত্রায় জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সর্দি-জ্বর থেকে দ্রুত বাঁচার উপায়
সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই মানুষের সর্দি-জ্বর ভালোও হয়ে যায়। তবে কিছু নিয়মে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত সময়ে সর্দি-জ্বর ভালো করা সম্ভব।
- সর্দি-জ্বরের সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকার পাশাপাশি গরম পোশাক পরতে হবে। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঠাণ্ডা-কাশি থেকে তাড়াতাড়ি রক্ষা পাওয়া যাবে।
- গবেষণায় বলা হয়, ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই ঠাণ্ডা বা সর্দি-জ্বরের সময় শিশুদের পরিমাণমতো বিশ্রাম বা বেশি ঘুমাতে দিলে দ্রুত আরোগ্য লাভ হবে।
- শিশুকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, পানি বা ফলের রস খাওয়ান।
- শীতের সময় একটি সাধারণ উপসর্গ হলো গলাব্যথা। লবণপানি দিয়ে গার্গল করা অথবা লেবু ও মধু দিয়ে হালকা গরম পানীয় পান করলে গলাব্যথা দ্রুত উপশম হতে পারে।
- শিশুদের এই শীতে ধুলোবালি থেকে দূরে রাখুন। বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে দিন।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।