জরায়ুমুখের চিকিৎসায় ল্যাপারোস্কোপির চিকিৎসা কী?

Looks like you've blocked notifications!

জরায়ুমুখের চিকিৎসায় ল্যাপারোস্কোপির চিকিৎসা করা হয়। এটি অন্যান্য চিকিৎসার চেয়ে তুলনামূলক সুবিধাজনক। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৩৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাজলিমা নারগিস। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতির সুবিধা কী?

উত্তর : পেট কেটে যদি অস্ত্রোপচার করতে হয়, তাহলে তো বেশ বড় একটি কাটা পড়ে। আর বাংলা কথায় যদি বলতে হয় পেট ফুটো করে অস্ত্রোপচার, সেভাবে করলে আমাদের কাটার পরিমাণ খুব কম। এতে অল্প সময়ে রোগী আরোগ্য লাভ করে। যত বড় পেট কাটা থাকে, তবে ল্যাপারোস্কোপিতে সেটি করতে হয় না। অল্প সময়ে রোগী আরোগ্য পেতে পারে। যত বড় পেট কাটা থাকে, ব্যথার পরিমাণ তত বেশি থাকে। কাজে-কর্মে যোগ দিতেই তার দেরি হয়, হাসপাতালে বেশি দিন থাকতে হয়। তবে ল্যাপারোস্কোপি করলে তার ব্যথার পরিমাণ কম থাকবে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে সে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে। তবে চিকিৎসার শুরুতেই যদি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া হয়, তবেই এটি সম্ভব। নয়তো টিউমার যদি বেশি বড় হয়ে যায়, তখন ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে বের করা কষ্টকর।

প্রশ্ন : জরায়ুমুখের টিউমার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কী পরীক্ষা আপনারা করে থাকেন?

উত্তর : সাধারণত জরায়ুর টিউমার নির্ণয়ের জন্য, আল্ট্রাসনোগ্রাফি করলেই এটা নির্ণয় করতে পারি। প্রথমত রোগী আমাদের কাছে আসলে রোগীকে দেখে তার শরীরে পরীক্ষা করি। বিবাহিত হলে তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে। সেগুলো আমরা নিজেরা করে এরপর ল্যাবরেটরিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে পাঠাই, এরপর চিকিৎসা করি।