শিশুদের চোখে আঘাতে করণীয় কী?

অনেক সময় শিশুরা অসতর্কতাবশত সূক্ষ্ম জিনিস দিয়ে নিজেদের চোখে নিজেরাই আঘাত দিয়ে থাকে। এ সময় করণীয় কী? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৬৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. আফজাল মাহফুজউল্লাহ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও রেটিনা সার্জন হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সূক্ষ্ম কোনো জিনিস দিয়ে বাচ্চারা নিজেরাই নিজেদের চোখে আঘাত দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আসলে করণীয় কী?
উত্তর : সে ক্ষেত্রে প্রধান ও প্রথম করণীয় হলো ওই চোখে কোনো ড্রপ দেওয়া যাবে না। কারণ, আমরা যখন কর্নিয়ার মতো স্বচ্ছ অংশকে ছিদ্র করে ফেলি, তখন চোখের ভেতর সামান্য পানি থাকে। দশমিক ২৫ এমএলের মতো পানি থাকে, সেই পানিটা কিন্তু বের হয়ে যায়। বের হয়ে আইরিস নামক একটি পর্দা ভেতরে থাকে। পর্দাটা ওই ছিদ্র দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা থাকে। একে বলা হয় আইরিস প্রলাপস। এটি যদি হয় এবং চোখের অন্তর্গত পানি যদি হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা যদি পানি দিই বা ড্রপ দিই, সেই ড্রপটাও সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই ড্রপ বাইরের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ড্রপের ফোঁটাটা ভেতরে চলে যায় এবং তখন সংক্রমণ চোখের ভেতরে চলে যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হবে খুব দ্রুত তাকে পেট ব্যান্ডেজ দিয়ে দেওয়া এবং অতিদ্রুত হাসপাতালে নিয়ে দেখানো। সিট ল্যাম্প পরীক্ষা করা। এটি সব হাসপাতালেই থাকে। প্যারিফেরাল, উপজেলা সব হাসপাতালেই সিট ল্যাম্প থাকে। এটি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা উচিত যে চোখে ছিদ্র হয়েছে কি না।
যদি চোখে ছিদ্র হয়ে যায়, তাহলে তাকে একজন কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো উচিত। এখনো তার ছিদ্র অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, নাকি এখনো ছিদ্র অবস্থাতেই রয়েছে, সেটি দেখতে হবে। যদি ছিদ্র অবস্থায় থাকে, দ্রুত তা ঠিক করতে হবে। সেটা সেলাই করে ঠিক করে দিতে হবে। খুব দ্রুত ঠিক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বলা জরুরি যে কোনো ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না। শুধু মুখে ট্যাবলেট দিয়ে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ঠিক করে দেবো। উপযুক্ত সার্জন দিয়ে ঠিক করে নিতে হবে। এভাবে করে নিলে অবশ্যই তার দৃষ্টি ফিরে আসা সম্ভব।