চোখ ওঠার সমস্যা কেন হয়, করণীয়?

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা হয়নি এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। এই সমস্যা হয় কেন? রোগটি হলে করণীয় কী?
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৬৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নাফিস আহম্মেদ চৌধুরী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চক্ষু বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগ খুব প্রচলিত। কনজাংটিভাইটিস হয় কেন?
উত্তর : আমাদের যে আবহাওয়া, বাতাস এর মধ্যে সবসময় রোগ জীবাণু ঘুরছে। কোনোগুলো সক্রিয় থাকে, কোনোগুলো সক্রিয় থাকে না। এ রকম কোনো রোগ জীবাণু যদি চোখের ভেতর চলে যায়, চোখের সামনের অংশে চলে যায়, তখন চোখে প্রদাহ বা সংক্রমণ হতে পারে। এটি ব্যাকটেরিয়াও করতে পারে। ভাইরাসও করতে পারে। এটিই চোখ ওঠার প্রধান কারণ। অনেক সময় দেখবেন একটি পরিবারের যদি একজনের চোখ ওঠে তখন প্রায় পরিবারের সবারই চোখ ওঠে। এটি বাতাসের মাধ্যেমে একজনের চোখ থেকে আরেকজনের চোখে চলে যায়। অথবা ব্যবহৃত তোয়ালের মাধ্যমেও যেতে পারে।
প্রশ্ন : চোখ ওঠা রোগে করণীয় কী?
উত্তর : প্রথম করণীয় হলো চিকিৎসকের কাছে যাবে। ড্রপ দিবে, ওষুধ দিবে। ড্রপ দিয়েই এটি ভালো হয়। এটি যেন ছড়িয়ে না যায় সে জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে বা যেসব জিনিস পত্র সে ব্যবহার করে, সেগুলো আলাদা করে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন : চোখ ওঠার সময় চশমা পরার গুরুত্ব কতখানি?
উত্তর : আসলে চশমার গুরুত্ব অবশ্যই আছে। আলো আপনাকে কিছুটা স্পর্শকাতর করতে পারে। একজন লোকের যদি চোখ ওঠে নিশ্চয়ই তাকে ভালো দেখা যাবে না। অন্যরাও একটু অস্বস্তিবোধ করবে। চশমা পরলে জীবাণু ছড়ানোও কিছুটা কম হবে।