কোন অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়?

Looks like you've blocked notifications!

শরীরে রক্ত চলাচলের সময় রক্তনালীর দেয়ালে চাপ দেয়। একে সাধারণত রক্তচাপ বলে। তবে এই চাপ কখনো বেড়ে যায়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৭৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী। বর্তমানে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সরকারি চাকরিতে কর্মরত। 

প্রশ্ন : শরীরের মধ্যে যে রক্ত চলাচল করে এ সময় রক্তনালির দেয়ালে চাপ দেয়, একে কোন পর্যায়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ বলবেন? 

উত্তর : রক্ত যখন প্রবাহিত হয়, সে যখন রক্তনালির প্রতি চাপ প্রয়োগ করে তাকেই বলা হয় রক্তচাপ। স্বাভাবিকভাবে এই জন্য একটি নির্দিষ্ট রক্তচাপ লাগবে। রক্ত প্রবাহিত হওয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরে অক্সিজেন ও পুষ্টি প্রদান করে থাকে। ১২০ মিলিমিটার মার্কারি হলো ওপরের চাপটা। এখানে দুই ধরনের চাপ আছে। একটি  হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ, আরেকটি হলো ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। ওপরের যেটি একে আমরা সিস্টোলিক বলি, ১২০ মিলিমিটার মার্কারি বা তার থেকে সাধারণত নিচে থাকবে। আর ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ হচ্ছে ৯০ মিলিমিটার মার্কারি বা তার নীচে। ৬০-৯০ হলো স্বাভাবিক মান। এর ভেতর থাকতে হবে। সিস্টোলিক হলো ১০০ থেকে ১২০ এর মধ্যে থাকবে। এটি হলো প্রচলিত। আমরা বলি ১৪০ মিলিমিটার মার্কারি বা তার চেয়ে বেশি যদি সিস্টোলিক রক্তচাপ হয় এবং ডায়স্টোলিক রক্তচাপ যদি ১০০ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তখন আমরা তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলি। 

প্রশ্ন : একবার রক্তচাপ বেশি পেলেই কি ধরে নেন তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী? 

উত্তর : একবার পেলে একে উচ্চ রক্তচাপ বলা ঠিক হবে না। সাধারণত তিনটি সেটিংয়ে যদি পর পর দেখা যায় রক্তচাপ বেশি থাকে, সেই ক্ষেত্রে তাকে উচ্চ রক্তচাপ হয়েছে বলে বলা উচিত। অনেক সময় দুশ্চিন্তার জন্য রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকের কাছে গেলেও বেড়ে যেতে পারে। তিনটি সেটিংয়ে যদি বেশি থাকে, সেই ক্ষেত্রে পর পর উচ্চ রক্তচাপ দেখা উচিত।