শিশুদের যেসব ইউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়

Looks like you've blocked notifications!

শিশুদের বিভিন্ন রকম ইউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৮৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. নজরুল ইসলাম আকাশ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : সাধারণত একজন শিশুর জন্মগতভাবে কী সমস্যা হতে পারে?

উত্তর : ইউরোলজিক্যাল সমস্যা বলতে সাধারণত কিডনি, ইউরেটার, ব্লাডার, ইউরেথ্রা এইগুলো নিয়ে ইউরোলজি বিভাগটি তৈরি। এগুলোর যেই সমস্যা সেগুলো হলো ইউরোলজিক্যাল সমস্যা। প্রস্রাব তৈরি হওয়া থেকে প্রস্রাব বের হওয়া পর্যন্ত পুরোটা পথের যেকোনো জায়গায় যেকোনো সমস্যা হতে পারে। বড়দের যেমন ইউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়, তেমনি বাচ্চাদেরও ইউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়।

জন্মগতভাবে কিছু ত্রুটি নিয়ে আসে। আবার কিছু খুব নতুন করে তৈরি হয়। জন্মগত ত্রুটি হতে পারে, জন্মগতভাবে একটি কিডনি নেই। কিডনির জায়গায় দেখা গেলো ইউরেটার দুইটা। আবার ব্লাডার যেভাবে থাকার কথা সেভাবে না থেকে বের হয়ে আছে। আবার দেখা গেল, ছেলেবাচ্চাদের প্রস্রাবের যে মুখ সেটি সামনে না থেকে নিচের দিকে। এগুলো হলো সাধারণত জন্মগত ত্রুটি। এ ছাড়া আরো কিছু ত্রুটি আছে। তবে এ ত্রুটিগুলোকেই সাধারণত প্রচলিত হিসেবে পেয়ে থাকি।

প্রশ্ন : জন্মের পর কী ধরনের সমস্যা হয়?

উত্তর : বাচ্চার ইউটিআই হতে পারে। প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে। প্রস্রাব ঝরে। প্রস্রাবের রাস্তায় পাথর হতে পারে। বাচ্চাদের সাধারণত জন্মগত ত্রুটি থেকে বিভিন্ন সমস্যা প্রকাশ পায় বা বিভিন্ন লক্ষণ নিয়ে আসে। জন্মের আগে থেকে দেখা গেল একটি বাচ্চার কিডনিতে পানি।এ রকম সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসে। এ ক্ষেত্রে আমরা তাদের বলি এখন দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আপনার বাচ্চার স্বাভাবিকভাবে প্রসব হওয়ার যে বিষয় সেটি হবে। এরপর আলট্রাসনোগ্রাম করে যদি কোনো সমস্যা দেখা যায়, কিডনি থেকে যে প্রস্রাব তৈরি হয়, সেটি তৈরি হওয়ার যে রাস্তা, ইউরেটার দিয়ে আসার সেই মুখটায়, কিডনি ও ইউরেটারের সংযোগস্থলে চিকন থাকে। এতে প্রস্রাব যেই ধারায় আসার কথা সেই ধারায় না এসে,ফোঁটায় ফোঁটায় আসে।এতে ওপরের দিকে প্রস্রাব জমে যায়।এটি সার্জারির মাধ্যমে ঠিক করা দরকার। ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব পড়ে। প্রস্রাব পড়ার সময় কান্নাকাটি করে, চিৎকার দিচ্ছে, সারা দিন প্রস্রাব ঝরছে, তলপেটটা ফোলা।এরকম সমস্যা যতো নিয়ে আসে, তখন প্রস্রাবের থলির পর যে রাস্তা দিয়ে প্রস্রাব বের হবে, সেখানে বাধা পায়। দেখা যায়, প্রোসটেরিয়াল ইউরেথ্রাল ভাল্ভ, একটি মেমব্রেন থাকে, সেটি প্রস্রাবের মুখে একধরনের বাধার সৃষ্টি করে। মাঝখানে যদি ছোট্ট একটি ছিদ্র দেখা যায়, সেখানে যে চাপ দেয়, তখন একটু প্রস্রাব যায়, স্বাভাবিকভাবে যে প্রস্রাব যাওয়ার কথা সেটি যায় না। গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় প্রস্রাবের যে থলি, তার গঠন সঠিকভাবে না হয়ে, এর ওপর যে নিউরোলজিক্যাল নিয়ন্ত্রণ সেটি থাকে না। নিউরোজেনিক ব্লাডার। সেখান থেকেও সে প্রস্রাব ঠিকমতো করতে পারে না। এ ছাড়া আরো যে সমস্যা কিডনি থেকে প্রস্রাব তৈরি হয়ে ইউরেটার দিয়ে যখন প্রস্রাবের থলিতে আসবে, সেই থলি ও প্রস্রাবের ইউরেটারের সংযোগ স্থলে দেখা যায় চিকন। সেটা একটি সমস্যা। সেগুলো হলেও সার্জিক্যালভাবে ঠিক করা দরকার। আমরা সাধারণত দেখি কী সে প্রস্রাব করতে পারে না অথবা প্রস্রাবে সংক্রমণ।