কিডনির রোগীদের চিকুনগুনিয়া হলে করণীয়

Looks like you've blocked notifications!

চিকুনগুনিয়া বর্তমানে একটি বার্ন ইস্যু। কিডনির রোগীদের চিকুনগুনিয়ার সমস্যা হলে করণীয় কী? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮০০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শামীম আহম্মেদ। তিনি জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও অধ্যাপক।

প্রশ্ন : যাঁরা কিডনি রোগে ভুগছেন, তাঁদের যদি চিকুনগুনিয়ার সমস্যা হয়, তাঁরা কী করবেন?

উত্তর : কিডনির যে চিকিৎসা রয়েছে, সেটি চলবে। তাঁর যদি ডায়াবেটিস থাকে, এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রক্তচাপ থাকলে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রোটিন রেসট্রিকশন ডায়েট করতে হবে। আর ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল দিতে পারি অথবা আপনি জেল লাগাতে পারেন। আর আমরা বলি না গরম ছেঁক দিতে, ঠান্ডা ছেঁক দিলে ভালো। আর এতে যদি ব্যথা না কমে, আমরা অনেক সময় বাধ্য হই ব্যথাজনিত সুলিন ডাগ বা টেমাডোল জাতীয় ওষুধ দিতে। দু-তিন দিন আমরা দেখব, ভালো হলো কি না। এরপর ক্রিয়েটিনিন দিয়ে কিডনির কার্যক্রমটা দেখি। প্রস্রাবটা কী রকম হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার লক্ষ রাখতে হবে। যাদের এই ব্যথার ওষুধটা দিচ্ছি, আর কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের এটি দিতে হবে। অনেক সময় বমি বমি ভাব লাগে। এই বমির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে। আর আনুষঙ্গিক যে জিনিসগুলো, সেগুলোর ওপর লক্ষ রাখতে হবে। এর জন্য বিশেষ কোনো পরীক্ষা নেই। অনেক সময় পাঁচ- ছয় দিন পরে অ্যান্টিবডি করা হয়। অ্যান্টিবডি পজিটিভ থাকুক বা নেগেটিভ, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুক্ত নয়। যাদের সামর্থ্য নেই, এই পরীক্ষা করার কোনো প্রয়োজন নেই করার। এর ব্যথা অনেক দিন রয়ে যায়। এই ব্যথা দূর করার জন্য ব্যথার ওষুধ দেওয়া যায়। আমরা মনে করি, প্যারাসিটামল খান। যদি না যায়, ব্যথার ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। তবে খুব সাবধানে দিতে হবে, যেন ক্রিয়েটিনিনটা না বেড়ে যায়।

যদি ব্যথার ওষুধ খায়, যাদের ক্ষেত্রে কিডনির রোগ নেই, তাদেরও সিরাম ক্রিয়েটিনিনটা করে নেওয়া ভালো। আর যাদের রোগ আছে, তাদের তো করতেই হবে। মানুষ এভাবে আসে যে ‘স্যার আর পারছি না, কিছু একটা করেন।’ সে ক্ষেত্রে আমরা দিতে পারি। তবে খুব সাবধানতার সঙ্গে দিতে হবে। আমি মনে করি, পাঁচ বা সাত দিন দেওয়ার পর আপনি ক্রিয়েটিনিনটা করেন। আর ফলোআপ করতে হবে।

যাঁরা প্রবীণ, তাঁদের প্রতিরোধ শক্তিটা কম। এই ভাইরাল ইনফেকশনে তাঁদের সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে। তাঁদের এই সমস্যা আসলে বেশি হচ্ছে।