কেন হয় ফুসফুসের রোগ সিওপিডি?

Looks like you've blocked notifications!

সিওপিডি ফুসফুসের একটি জটিল রোগ। ধূমপান এর অন্যতম কারণ। তবে এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮২০তম পর্বে কথা বলেছেন, ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালে বক্ষব্যাধি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : সিওপিডি কী?

উত্তর : এটি দীর্ঘমেয়াদে শ্বাসনালির প্রদাহজনিত সমস্যা। অ্যাজমাও প্রদাহজনিত সমস্যা। তবে পার্থক্য হলো অ্যাজমা রিভাসেবল। ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সিওপডি যদি একবার শুরু হয় ওষুধ দিয়ে রোগটা শুধু আমরা কমিয়ে দিতে পারি। রোগটিকে আরো খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারি। একমাত্র সিগারেট যদি বন্ধ করে, রোগটি যে খারাপ হয়ে যাচ্ছে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে, একে আর স্বাভাবিক অবস্থায় নেওয়া যাবে না।

প্রশ্ন : সিওপিডি কি ধূমপানের কারণেই হয়, নাকি ধূমপান ছাড়াও হতে পারে?

উত্তর : প্রধানত এটি ধূমপানের জন্য হয়। তবে এটি ছাড়া আরো কিছু কারণ রয়েছে। যেমন : রান্নার চুলা দিয়ে অনেক সময় সিওপিডি হতে পারে। পরিবেশদূষণের কারণে হতে পারে। কলকারখানার জন্য হতে পারে। কলকারখানার ধোঁয়ার জন্য হতে পারে।

প্রশ্ন : অনেকে অনেক বেশি ধূমপান করে। সেই ক্ষেত্রে সিওপিডি বা ধূমপানজনিত সমস্যা এদের মধ্যে কাদের বেশি হয়?

উত্তর : যারা খুব অল্প বয়সে শুরু করে, আর যারা অতিমাত্রায় খাবে। সময় ও সংখ্যা, যাদের বেশি হবে, তাদেরই সিওপিডি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সাধারণত বলা হয় সিওপিডি হতে ২০ প্যাক ইয়ার লাগে। দৈনিক যদি ২০টি করে সিগারেট খায়, এক বছরে এক প্যাক ইয়ার। ২০ বছর যদি খায়, তাহলে ২০ প্যাক ইয়ার। সিগারেট সাধারণত মানুষ ১৭/১৮ বা ১৯ বছর বয়সে শুরু করে। কেউ যদি এই সময়ে শুরু করে তাহলে দেখবেন যে সিওপিডি রোগটা আসলে হয়ে যাচ্ছে।

কেউ যদি ৪০টা করে খায়, তাহলে কিন্তু ১০ বছরেই তার হয়ে যাবে।

প্রশ্ন : সিওপিডিতে কি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?

উত্তর : ব্রঙ্কাইটিস নামে একটি রোগ রয়েছে, এনমফাইসিমা নামে একটি রোগ রয়েছে। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে শ্বাসনালিতে প্রদাহ হয়ে, কতগুলো পরিবর্তন হয়। আর এমনফাইসিমা যেটি সেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষের মতো থাকে, যার কারণে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবর্তিত হবে সেই যে মেমব্রেনটা রয়েছে, সেটি নষ্ট হয়ে যায়। এটি আর স্বাভাবিক হয়ে আসবে না। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফুসফুসটা একেবারে বড় হয়ে যায়। ফুসফুস তো একটি স্পঞ্জি জিনিস, শ্বাস নিচ্ছি ঠিক হয়ে যাচ্ছে। শ্বাস ছাড়ছি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এটি যখন আস্তে আস্তে জমে যায় একটি ট্রেপ হয়ে যায়। যখন ট্রেপ হয়ে যায়, তখন তো আর বাতাস বের হতে পারে না। তখন ধীরে ধীরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আমি বাতাসের মধ্যে  বসে আছি, তবে সে বাতাস কাজে লাগাতে পারছি না।