বিষণ্ণতা ও সাধারণ মন খারাপ : পার্থক্য কী?

Looks like you've blocked notifications!

বিষণ্ণতাকে বর্তমানে বেশ প্রচলিত একটি মানসিক রোগ বলা চলে। সাধারণ মন খারাপ এবং বিষণ্ণতার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৩৭তম পর্বে কথা বলেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মো. আজিজুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : বিষণ্ণতা বলতে কী বোঝানো হচ্ছে?

উত্তর : বিষণ্ণতা হলো একটি মনোরোগ এবং এটি মুড ডিজঅর্ডার। মুড হলো আবেগগত একটি ব্যাপার। মুড মানুষের জীবনকে রাঙিয়ে দিতে পারে। এই মুড যখন নিচের দিকে থাকবে, অবনমিত থাকবে, একে আমরা বিষণ্ণতা বলি।

প্রশ্ন : বিষণ্ণতা ও সাধারণ মন খারাপের মধ্যে পার্থক্য কী? কখন মন খারাপকে বিষণ্ণতা বলা হচ্ছে?

উত্তর : বিষণ্ণতার অনেক পর্যায় রয়েছে। বিষণ্ণতা একটি রোগের লক্ষণ হিসেবে আসতে পারে, যেকোনো রোগের। এমনকি ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ হিসেবে বিষণ্ণতা হতে পারে। বিষণ্ণতা একটি সিনড্রোম হতে পারে। একটি অবস্থার হতে পারে। আবার বিষণ্ণতা রোগ হিসেবে, ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার হিসেবে আসতে পারে। ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার যদি আমরা নির্ণয় করি, তাহলে এক রকম হলো। আর সাধারণত একজনের মনে কষ্ট হলো সেটি অবস্থাজনিত কারণে বিষণ্ণতা। একজনের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হলে মনটা একটু খারাপ হলো, এটি হলো ডিপ্রেশন। তবে এটি ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার নয়।

সাধারণ মন খারাপ আর বিষণ্ণতার মধ্যে একটু পার্থক্য থাকবে। ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার যদি হয়, সব সময় তার মন খারাপ থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় হতে হবে এবং এই বিষণ্ণতার জন্য তার দৈনন্দিন ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক জীবনে ব্যাহত হবে। তার কাজকর্মে ব্যাঘাত তৈরি হবে। যদি এই হয় তাহলে আমরা তাকে ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার বলব।